রাগেরহাটের চিতলমারীতে সড়ক সংস্কারের কয়েক মাসের মধ্যেই কার্পেটিং উঠে সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এত করে এক পশলা বৃষ্টিতেই হাঁটু কাঁদায় একাকার হয়ে যাচ্ছে পুরো সড়ক। সড়কের এ বেহাল দশায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অবহেলা ও মানহীন কাজকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। চিতলমারী উপজেলার ভ্যানচালক নবের আলী শেখ জানান, উপজেলার অধিকাংশ সড়ক এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। মাত্র ৬ থেকে ৮ মাস আগে মেরামত করা সড়কগুলো এখন ভ্যান, নছিমন ও ট্রাক ড্রাইভারদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যাপ্ত বাজেট থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারের অবহেলা, মানহীন কাজ ও সংশ্লিষ্ট দফতরের তদাররিক অভাবে সড়ক সংস্কারের কোনো সুফলই পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
শান্তি রঞ্জন মণ্ডল, আক্কাস আলী, আকবর আলী, মিঠুন বাওয়ালী ও জাহিদ আলীসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নানা জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে এসব গর্ত যেন এক একটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব ফাঁদে পড়ে সবজি বোঝাই ট্রাক উল্টে যাচ্ছে। আবার অনেক সময় ট্রাক আটকে পড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়ক অবরুদ্ধ থাকছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার ট্রাক ড্রাইভার মাসুদ বেপারী জানান, তিনি ১৩ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন। চিতলমারী সড়কে আসলে কখন গাড়ি খাদে পড়ে সে ভয়ে তার বুকে কাপন ধরে। চিতলমারীর স্থানীয় সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার হওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
সড়কের সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কথা বলতে রাজি হননি।
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শেখ জানান, তার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কথা তিনি মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু তার কথায় কেউ সাড়া দেননি।
চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলী জাকারিয়া ইসলাম বলেন, যে সব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত সেগুলোর অধিকাংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। খাল পুনঃখননের কাজে ব্যবহৃত ১০ চাকার বড় গাড়ি চলাচলের জন্য সড়কগুলো হয়েছে। বাখরগঞ্জ থেকে গোদাড়া গেটের রাস্তাটি কয়েক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া মধুমতী ও চিত্রা নদীর পাড়ে চিতলমারী থেকে বাবুগঞ্জ এবং চিতলমারী থেকে বাখরগঞ্জ সড়কে ফাটল ধরেছে। অফিসিয়ালভাবে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। জনদুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা