২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


গরমে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর

তালের শাঁসের ভ্রামামাণ দোকানে ক্রেতাদের ভিড় : নয়া দিগন্ত -

‘কাঁচা অবস্থায় খায়, পাকা অবস্থায় খায়, দীর্ঘদিন ফেলে রাখলেও খাওয়া যায়’ প্রচলিত এমন বুলির সাথে জুড়ে আছে তালের কথা। সারা দেশের মতো উপকূলজুড়ে যখন বইছে তাপপ্রবাহ ঠিক তখনই দিন-রাতের এই খরতাপ থেকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে গলাচিপায় কদর বেড়েছে রসালো তালের শাঁসের। দিনের বেলায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পানি তালের গাড়ির পাশে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে পানিতাল বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অসহনীয় গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। তাজা ও ফরমালিনমুক্ত তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের সালাম ডাক্তারের ছেলে ও তাল বিক্রেতা হাবিব জানান, গরমে তালের প্রতি সব বয়সের লোকেরই আগ্রহ একটু বেশি থাকে। ১০০ তাল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মূল্যে কিনে আনা হয়। প্রতি দিনই ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ তাল নিয়ে আসা হয়। প্রতিটি তাল আকার ভেদে ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। প্রতি দিন ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা লাভ হয়।
গলাচিপা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, বজ্রপাত রোধে বিভিন্ন রাস্তার ধারে কৃষি অফিস ও বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে তাল গাছ রোপণ করে আসছে। এসব গাছের তাল পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে বীজ করা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মেজবাহ উদ্দিন জানান, তালের শাঁস প্রাকৃতিকভাবে দেহকে ক্লান্তিহীন রাখে। শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে। তালে থাকা ভিটামিন দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত, লিভারের সমস্যা ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণ এবং ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখে। তালে বিদ্যমান এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাল বমিভাব এবং বিস্বাদ দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


আরো সংবাদ



premium cement