২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি চেয়ারম্যান নির্বাচিত

কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী - ছবি : সংগৃহীত

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় নির্বাচনের মাত্র একদিন আগেই কারাগারে যান ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী। এরপর কারাগারে বন্দী থেকেই বুধবারে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ফরিদপুর সদর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

সারাদিন ভোটগ্রহণ শেষে বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ১৫৪টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আনারস প্রতীকে সামচুল আলম চৌধুরী ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিফোন প্রতীকে মনিরুল হাসান মিঠু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট।

সামচুল আলম চৌধুরী দেশব্যাপী আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। ওই মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

একই মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি হিসেবে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সামচুল আলম চৌধুরীর সাথে আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার গোলাম মো: নাসির জামিন পেলেও আদালত সামচুল আলম চৌধুরীর জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৬ জুন ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৪৬ জন আসামির মধ্যে ফরিদপুরের আলোচিত সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো: বিল্লাল হোসেন, মো: সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো: সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, মো: শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো: বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো: নাছিম, মো: জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো: আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাভ বোস, চৌধুরী মো: হাসান, মো: জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মন্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুনুম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত, আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো: মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো: আব্দুল জলিল শেখ, মো: রফিক মণ্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।


আরো সংবাদ



premium cement