০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাত শতাধিক সদস্যের বাংলাদেশ বহর

-

১-১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে শুরু হচ্ছে আগামী এস এ গেমস। এই গেমসের ২৭ ডিসিপ্লিনের মধ্যে ২৫টিতে অংশ নেবে বাংলাদেশ দল। প্যারাগ্লাইডিং এবং ট্রায়াথলনে লাল-সবুজদের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। এই দুই ডিসিপ্লিনের যে চর্চা নেই বাংলাদেশ। বিওএ প্রথমে জানিয়েছিল তারা ২৪ ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে। পরে তারা অন্তর্ভুক্ত করে স্কোয়াশকে। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সবশেষ এস এ গেমসে বাংলাদেশের অর্জন চারটি স্বর্ণ। এবার কয়টি স্বর্ণের প্রত্যাশা তা এক দেড় মাস পর বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিওএ) অবহিত করবে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলো। তবে বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার আশাবাদ এবার আরো বেশি স্বর্ণ জয় করবে বাংলাদেশ। কতটি পদক লাল-সবুজ জার্সিধারীদের গলায় ঝুলবে তা বোঝা যাবে গেমস শেষেই। তবে এবারের এস এ গেমসে বাংলাদেশ দলের সদস্য সংখ্যা হতে যাচ্ছে সাত শতাধিক। আর এখন ফেডারেশনগুলো যে তালিকা দিয়েছে তা অনুসরণ করতে গেলে এই সংখ্যা নয় শ’ ছাড়িয়ে যাবে। বিওএ অবশ্য পদক জয় বা টাইমিংয়ের উন্নতি এবং ভবিষ্যতে সম্ভাবনা নেই এমন ইভেন্টে ক্রীড়াবিদ পাঠাবে না।
২০১৬ সালের শিলং-গৌহাটি এস এ গেমসে হকি ছিল। এবার নেই হকি। তবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্রিকেট। তা পুরুষ ও মহিলা দুই ইভেন্টেই। সাথে আছে মহিলা ভলিবল দলও। তাই এবার সদস্য সংখ্যা বেশি হচ্ছে বহরে। জানান, সৈয়দ শাহেদ রেজা। গতকাল পর্যন্ত যে খসড়া হিসাব তাতে কাঠমান্ডু এস এ গেমসে ৩৫৫ জন পুরুষ এবং ৩১১ জন মহিলা ক্রীড়াবিদ যাচ্ছেন লাল-সবুজ পতাকা বুকে নিয়ে। ক্রিকেট এবং ফুটবল দল এর বাইরে।
আসন্ন এই বৃহৎ আঞ্চলিক গেমসে ভালো করতে বিওএর তত্ত্বাবধানে ২৩ ডিসিপ্লিনের আবাসিক ক্যাম্প শুরু হয়েছে। ফুটবল এবং ক্রিকেট নিজ উদ্যোগেই ক্যাম্প করে। ১৫ জুলাই থেকে প্রশিক্ষণে আছেন ক্রীড়াবিদরা। চলবে গেমসের আগ পর্যন্ত। ট্রেনিং খাতে সরকারের কাছে সাড়ে আঠারো কোটি টাকা চেয়েছে বিওএ। তবে সরকারের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা পাওয়ার আশ্বাস মিলেছে। যদিও এই অর্থ এখনো বিওএর ভাণ্ডারে আসেনি। আপাতত অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব অর্থায়নেই চলছে সব ডিসিপ্লিনের অনুশীলন। সরকারের টাকা এলে তখন সমন্বয় করা হবে। জানান সৈয়দ শাহেদ রেজা। তবে ট্রেনিংয়ের জন্য খেলোয়াড়দের আবাসনব্যবস্থা নিয়ে মহাসঙ্কটে পড়েছে বিওএ। পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পুরুষ ব্যাডমিন্টন এবং কাবাডি দলকে হোটেলে রাখা হয়েছে। তথ্য দেন বিওএ মহাসচিব। ট্রেনিং খাতের পর নেপাল যাওয়ার যে টাকা লাগবে তা পরে দেবে সরকার। এমনই আশ্বাস মিলেছে।
ক্রিকেট থাকায় এবার বাংলাদেশের এই ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জয়ের আশা বাংলাদেশের। এ ছাড়া ফুটবল, শুটিং, তায়কোয়ানদো, সাঁতার, আরচারি, ভারোত্তোলন, উশুতে স্বর্ণের প্রত্যাশা। গত এস এ গেমসে আফগানিস্তান ৯টি স্বর্ণ জিতেছিল তায়কোয়ানদোতে। এবার আফগানিস্তান নেই এস এ গেমসে। তারা চলে গেছে সেন্ট্রাল এশিয়ান জোনে। এরপরও তারা আবেদন করেছিল এবারের এস এ গেমসে খেলতে। কিন্তু আয়োজক নেপাল তাতে সম্মতি দেয়নি। আফগানরা না থাকায় এবার তায়কোয়ানদোতে স্বর্ণ আশা করছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বক্সিংয়েও আসতে পারে সবার ওপরের পদকটি। উল্লেখ্য, গত এস এ গেমসে বাংলাদেশ সাঁতারে দু’টি এবং শুটিং ও ভারোত্তোলনে একটি করে স্বর্ণ পদক পায়।
এস এ গেমসের জন্য বিভিন্ন ফেডারেশনই বিদেশী কোচ চেয়েছে। এর মধ্যে বাস্কেটবল এবং ভারোত্তোলনে বিদেশী কোচ আসছে। বাস্কেটবলের ইতালিয়ান কোচের বেতানের টাকা ইতালির ফেডারেশনই দেবে। এ ছাড়া এস এ গেমসে না থাকলেও চীনা কোচ পাচ্ছে জিমন্যাস্টিকস। তায়কোয়ানদোতে কোরিয়ান কোচ থাকলেও তারা আরেকজন কোচ চেয়েছে। জানান বিওএর ট্রেনিং ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির সেক্রেটারি এ কে সরকার। তবে হাতে যে সময় এবং এই কোচদের বিদেশ থেকে আনার যে প্রক্রিয়া তাতে গেমসের আগে পর্যাপ্ত সময়ের জন্য তাদের আনা কঠিনই হয়ে যাচ্ছে। তখন অল্প সময়ের জন্য তাদের আনাটা ঠিক হবে কি না প্রশ্ন থেকেই যায়।
এবারের কাঠমান্ডু এস এ গেমসে বাংলাদেশ আরচারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, সাইক্লিং, ফেন্সিং, গলফ, হ্যান্ডবল, জুডো, কারাতে, খো খো, শুটিং, স্কোয়াশ, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ানদো, টেনিস, ভলিবল, কুস্তি, উশু, ক্রিকেট এবং ফুটবলে অংশ নিচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement