০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অভিজ্ঞতার অভাবেই এই দশা

-

এই নিয়ে টানা দুইবার একই দৃশ্য। সাফল্যের বদলে মাতা নত করে দেশে ফেরা বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের। গত মাসে তাজিকিস্তান থেকে। এবার গতকাল মিয়ানমার থেকে ফিরে আসা। পরবর্তী রাউন্ডে কোয়ালিফাই করার বদলে দুই ম্যাচে হেরে বিদায়। অবশ্য শেষ ম্যাচে তারা না হেরে করেছে রেকর্ড। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে জয় পুরো আসরে বাংলাদেশের পাওয়া প্রথম বিজয় উল্লাস। মিয়ানামারে অলিম্পিক ফুটবল বাছাইয়ে শেষ ম্যাচে নেপালের সাথে ড্রটাও এই দেশটির সিনিয়র ফুটবল দলের বিপক্ষে প্রথম না হারার ঘটনা। তবে অলিম্পিক ফুটবলে বাংলাদেশের এই দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে না পারার জন্য কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন অভিজ্ঞতার ঘাটতিকেই সামনে আনলেন। তার যুক্তি, প্রতিপক্ষ দলগুলোতে সব সিনিয়র ফুটবলাদের উপস্থিতি ছিল। বিপরীতে আমাদের দলে একজন ছাড়া অন্য সবাই অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সদস্য। ফলে অভিজ্ঞতা এবং শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। সে সাথে ডিফেন্ডারদের ভুল বাজে হারের জন্য দায়ী মিয়ানমার ও ভারতের কাছে।
এই দুই ম্যাচে বাজে হারলেও মিয়ানমারের সাথে সমান তালে লড়েছিল লাল-সবুজরা। ছোটনের মতে, ‘আমরা এই ম্যাচে পাঁচ গোলে হারলেও ৩৯ মিনিট পর্যন্ত তুমুল ফাইট করেছিলাম। এরপর দুই ভুলে দুই গোল হজম। বিরতির পর আরো তিন গোল। ভারতের বিপক্ষে তাদের অভিজ্ঞ কমলা দেবী এবং বালা দেবীর কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ। মাসুরার ভুলে পেনাল্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ ভালো খেলছিল বাংলাদেশ। এরপরই খেই হারিয়ে ফেলা এবং আরো ছয় গোল হজম।’ তবে বাংলাদেশ কোচ আশ্বস্ত করেন, ভারতের সাথে আগামীতে আর এমন বাজে রেজাল্টের পুনরাবৃত্তি হবে না। একই সাথে মিয়ানমারও ভবিষ্যতে এত সহজে পার পাবে না। তা আমরা শেষ ম্যাচে নেপালের সাথে ড্র করে বুঝিয়েছি।
মিয়ানমারের এই আসর বাংলাদেশ দলের সাফের জন্য ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। ‘সাফে আমরা আরো ভালো ম্যাচ উপহার দেবো। তবে এই বাংলাদেশ সিনিয়র দলকে আরো দুই বছর সময় দিতে হবে।’ বললেন ছোটন। তার পরামর্শ ধৈর্য ধরার। তখন এই ফুটবলারেদর অভিজ্ঞতা আরো বাড়বে।
এই মিয়ানমারের মাটিতেই ফেব্রুয়ারিতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ড। মিয়ানমার ছাড়াও চীন ও ফিলিপাইন আছে গ্রুপে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ৮ ফুটবলার খেলেছেন সিনিয়রদের অলিম্পিক ফুটবলে। তাদের এই অভিজ্ঞতা ফেব্রুয়ারিতে দারুণ কাজে দেবে। ছোটনের আশাবাদ, বাংলাদেশ তুমুল ফাইট করবে শক্তিশালী চীনের সাথে। সে সাথে মিয়ানমার এবং ফিলিপাইনের বিপক্ষেও। কোচ অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশের গ্রুপকে অন্য গ্রুপের চেয়ে কঠিনই বললেন।
অলিম্পিক বাছাইয়ে কয়েক ফুটবলার ভুল করলেও গোলরক্ষক রূপনা, ডিফেন্ডার আঁখি, শামসুন্নাহার, মনিকা, তহুরা, স্বপ্না, সানজিদা, কৃষ্ণারা চমৎকার খেলেছেন। কোচ তথ্য দেন, মনিকার ফ্রি কিক ক্রসবারে না লাগলে আমরা জিতেই যেতাম নেপালের বিপক্ষে। তিনি জানান নেপাল সিনিয়র দলের কাছে অতীতে তিন গোলের নিচে আমরা খাইনি। সেখানে এবার করেছি ড্র। এটা বড় প্রাপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement