দায়সারা গোছের এশিয়া কাপের আয়োজন! নতুবা এক দিনে দু’টি ম্যাচ তা-ও আবার ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মতো ম্যাচ আয়োজনের কী প্রয়োজন ছিল। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখার যেমন লোভ সামলানো যায় না। তেমনি বাংলাদেশ আফগান ম্যাচ থেকে চোখ সরাবে বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে। কিন্তু আয়োজকদের এমন নির্মম রসিকতা সহ্য করেই খেলা দেখলেন দর্শকেরা। দুবাই ও আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। দু’টি দল অনেকটাই একই সমান্তরালেই যেন এগোচ্ছিল। উইকেট পতন, রান সংগ্রহের ধরন অনেকটাই একই রকম ছিল দু’দলের। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এ দিনও বেশ অগোছালো মনে হয়েছে। বিশেষ করে যে ব্যাটসম্যানরা দলের স্কোর চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে নিয়ে যান, তারা যেন আফগান স্পিনার রশিদ খানের ভয়ে ছিল তটস্থ। রশিদ প্রথম স্পেলে যখন বোলিং করতে আসেন। ঠিক তখনই যেন এলোমেলো হয় ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা লিটন দাস আউটের পর, সাকিব নেমেই রানআউট। কিছুক্ষণ পর ওই রানআউট হন মুশফিকও। দলীয় ৮১ রানে প্রথম দু’জন আউটের পর ৮৭ রানে মুশফিক। দলের রান দাঁড়ায় ২০.৫ ওভারে ৮৭, পাঁচ উইকেট। দলের এ অবস্থার উন্নতি করবেন কে? তাহলে আবারো কি বিপর্যয় আফগানদের সামনে? কিন্তু আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যস্ত অবস্থার উন্নতির জন্য ঢাকা থেকে উড়িয়ে নেয়া সৌম্য ও ইমরুলের মধ্যে ইমরুলকে নামানো হয় এ ম্যাচে কঠোর সমালোচনার মধ্যে। সেই ইমরুলই তার অভিজ্ঞতার আলোকে দায়িত্ব নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সাথে। মিডল অর্ডারে ভালো ইনিংস খেলে দলকে বিপদমুক্ত করার অভ্যাস মাহমুদুল্লাহর নতুন নয়। এ দিনও তেমনই এক ইনিংস খেলেন এ ব্যাটসম্যান। ১২৮ রানের এক মূল্যবান পার্টনারশিপ খেলেন তিনি ইমরুল কায়েসকে নিয়ে। ৪৪.২ ওভারে দলীয় রান তারা পার করেন ২০০। মাহমুদুল্লাহ রশিদ খানকে ছক্কা হাঁকিয়েও ওই পর্যায়ে নিয়ে যান। দলীয় ৪৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৮/৫। যেখানে ওই দুই ব্যাটসম্যানের পার্টনারশিপ দাঁড়িয়েছিল ১২১ রান। যার গড় ৪.৯৭। এ সময়ই নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমরুল কায়েস। ৭৭ বলে ওই রান করেন তিনি দুই চারের সাহায্যে। এর আগে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ ৫৯ বলে। যাতে চার ছিল তিনটি। এরপর ৮১ বলে ৭৪ রানের এক ইনিংস খেলে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। দুই ছক্কা ও তিন চারের সাহায্যে সাজানো ছিল তার ইনিংস। দলীয় ২১৫ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি রশিদ খানের বলে। এরপর মাশরাফি খেলতে নামলেও স্বভাবসুলভ সে খেলা পারেননি খেলতে। ৯ বলে ১০ করে আউট হন। ইমরুল কায়েসের সাথে এ সময় যোগ দেন মেহেদি হাসান। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৯ রান। ইমরুল অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। আফতাব নেন ৩ উইকেট।
দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে সেভাবে চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করতে পারেনি পাকিস্তান। টপঅর্ডারের ব্যর্থতাই ওই পর্যায়ে যেতে সক্ষম হয়নি তারা। দলীয় স্কোর সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যান শোয়েব মালিক। শরফরাজ, আসিফ আলী। শোয়েব খেলেন ৭৮ রানের এক মূল্যবান ইনিংস। ৯০ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ওই রান করেছিলেন শোয়েব। শরফরাজ করেছিলেন ৪৪। এ ছাড়া আসিফ করেছিলেন ৩০। এতে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের দলীয় স্কোর গিয়ে পৌঁছায় ২৩৭/৭ এ। এ ছাড়া টপঅর্ডারে ফখর জামান করেছিলেন ৩১। ভারতের বোলারদের মধ্যে বুমরাহ, চাহাল ও যাদব প্রত্যেকে লাভ করেন দু’টি করে উইকেট। ভারত এরপর ২৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে নামবে খেলতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা