৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের কার্যক্রম শুরু আইন মেনে চলুন যানজট কমে যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

-

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চললে রাজধানীর দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে। এ জন্য নিজেদের স্বার্থেই ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার করতে হবে। তিনি জনসাধারণ ও যানবাহনের চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন সবাই নিয়ম মেনে চলুন, যানজট কমে যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নুর হোসেন চত্বরে (জিরো পয়েন্ট) নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নগরীতে পুলিশের এই কার্যক্রম চলবে।
ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেনÑ যানজটমুক্ত নগরী গড়তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে। সবাই ট্রাফিক শৃঙ্খলা মেনে চললে যানজট হ্রাস পাবে। বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে এখন মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী উভয়ই হেলমেট ব্যবহার করছেন। ছয় মাস আগেও মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা হেলমেট ব্যবহার করতেন না।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর সড়কে বাস চালকের দায়িত্বহীন ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে কোমলমতি দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়, যা ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ ঘটনার পর ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়। সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করতে এই জিরো পয়েন্টে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়। আজো এখান থেকে ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ’ উদ্বোধন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিজেদের স্বার্থেই ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার করতে হবে। সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চললে দুর্ভোগ কমে যাবে। ট্রাফিক পুলিশের চলমান উদ্যোগের সাথে রেড ক্রিসেন্ট এগিয়ে এসেছে। প্রয়োজনে রোভার স্কাউটকে সম্পৃক্ত করা হবে। ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ ও জনসচেতনতার ফলে ঢাকা শহরে ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতি চোখে পড়ছে বলেও মন্ত্রী জানান।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গত বছর পুলিশ তিন দফায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পালন করেছে। বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করেছে। এ কার্যক্রমে সড়কে বেশ কিছু দিকে উন্নতি হয়েছে। তবে যানজট নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা আশানুরূপ পূরণ হয়নি। আমরা ঢাকা মহানগরে ১৩০টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করেছি, এগুলোকে সিটি করপোরেশন বাস স্টপেজ হিসেবে তৈরি করছে। ফুটওভার ব্রিজ ও ফুটপাথ সংস্কারের কাজ চলছে। বিজয় সরণি থেকে জিরো পয়েন্টসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অনেক বড় উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা দিন-রাত কাজ করছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফেরাতে আইন প্রয়োগ করে যাচ্ছি। এটা অব্যাহত থাকবে। ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরে চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাফিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সড়কের কিছু সমস্যা সমাধান করা জরুরি। তার মধ্যে ভৌতকাঠামোর উন্নয়ন, ট্রাফিক সিগনাল ব্যবস্থা সংস্কার, রাস্তা যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করা ইত্যাদি। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা আইন না মানা। দেশের সুনাগরিক হিসেবে সবাইকে ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তিনি বলেন, ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ শেষে ফুটপাথ দখলমুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? আইডিবি ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্লিঙ্কেনের জর্ডান যাত্রা বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং ‘আইসিজের গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরাইল’ ‘আনারসের পাতা থেকে সিল্কের জামদানি শাড়ি আশার আলো জাগাবে’

সকল