বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার জনসাধারণের কর্মসংস্থানের মৌলিক অধিকারকে সঙ্কুচিত করে চলেছে। তারা বেকারত্ব দূর ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা মুখে বললেও বাস্তবে চরম কর্মহীনতা বর্তমানে দেশের প্রধান সঙ্কট হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ঘোষণা বাস্তবায়নে জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বিকল্প ব্যবস্থা না করে কোনো ব্যক্তির ন্যায়সঙ্গত কর্মসংস্থানের অধিকার হরণ করা চলবে না। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে হকারদের কেন্দ্রীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে গুলিস্তান ফুলবাড়ীয়া হয়ে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতাসীন সরকার মানুষের জীবিকা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখলে দেশের জনগণও তাদের ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের চূড়ান্ত সংগ্রাম শুরু করবে। তিনি অবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা না করে হকারসহ শ্রমজীবী মানুষের ওপর বলপ্রয়োগ ও উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের বংশাল, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর ও সদরঘাট এলাকায় নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ ও মালামাল ধ্বংসের প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা করেন নেতারা। সমাবেশ থেকে বলা হয়, মহান মে দিবসের আগে হকারদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ না হলে আগামী মে দিবসে কেন্দ্রীয় সমাবেশ থেকে আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল হাশিম কবীরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, কার্যকরী সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মঞ্জুর মঈন, আফছার উদ্দিন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক আনিস পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় নেতা মো: ফিরোজ ও রহিম উল্লাহ রাকিব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা