২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং

নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং - ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোড শেডিংয়ের ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। ২৪ ঘণ্টায় তিন-চার ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না।

এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তার পাশাপাশি কল-কারখানায় উৎপাদন পৌঁছেছে শূণ্যের কোটায়।

নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় নোয়াখালী পল্লী বিদুৎতের রয়েছে ছয় লাখের অধিক গ্রাহক। এসব গ্রাহক পড়েছে লোডশেডিংয়ের যাঁতাকলে। একসময় রাতের বেলায় লোডশেডিং হতো বর্তমানে রাত দিন ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে সমানে সমান।

যখন দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষ হাফিয়ে উঠছে এবং হিট স্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে, ঠিক তখনই নজির বিহীন লোডশেডিং মানে কার্যত মরার ওপর খাঁড়ার-ঘা।

এদিকে টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জেলার একমাত্র ভারী শ্ল্পি প্রতিষ্ঠান ডেল্টা জুট মিল, বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী ও নোয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীসহ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট বড় তিন শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তার পাশাপাশি কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মুজরী এবং মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীর মালিক সমিতির সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎতের অভাবে কলকারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার পথে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে ডিমাণ্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া দিতে হচ্ছে। এ দিকে চৌমুহনীতে প্রায় ৪০ হাজার ও মাইজদীতে প্রায় ৭৬ হাজার গ্রাহক রয়েছে পিডিবির। এসব গ্রাহক লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে। লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদীতে ব্যবসা পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। ব্যবসায়ীরা জেনোরেটর দিয়ে সমস্যার সমাধান করছে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায়র শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া বিঘ্ন ঘটছে।

লোডশেডিং বিষয় জানতে চাইলে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের জিএম জাকির হোসেনের নম্বরে ফোন দেয়া হয়। কিন্তু ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement