১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


জবি শিক্ষক সেকান্দারের কার্যক্রমে অতিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

-

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের নিয়ে বিতর্ক কাটছেই না। ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা ও মিমের শ্লীলতাহানির অভিযোগে সম্প্রতি দুই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। এবার ছাত্রীর সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটকের পর বিয়ে, অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, ফেসবুকে সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনায় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকান্দার। শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটিকে সর্বশেষ সিন্ডিকেটে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেকেন্দারের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল ও শিক্ষক সমিতি।
জবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের এক ছাত্রীকে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে গিয়ে শিক্ষক সেকান্দারকে অপ্রীতিকর অবস্থায় আটক করে প্রক্টর অফিসে জানায় সেখানকার শিক্ষার্থীরা। এরপর জাবির তৎকালীন প্রক্টর আরজ মিয়া, জগন্নাথের শিক্ষক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষক ড. ইমরান জাহানসহ একাধিক শিক্ষকের সামনে সেকেন্দার বিয়ের মুচলেকা দিলে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে সেই ছাত্রীকে বাধ্য হয়ে বিয়ে করেন সেকান্দার। এতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস না করার জন্য জানায় শিক্ষার্থীরা। তাদের পরীক্ষায় ধস নামানোর অভিযোগ উঠে। বর্তমানে ওই ছাত্রী শিক্ষককে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি : ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ক্লাসে মাস্টার্সে খিলাফত পড়াতে গিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে থাপ্পড় মারা উচিত, কারণ বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে হাইসনার (প্রধানমন্ত্রীর নামের কটাক্ষ) পদত্যাগ করা উচিত। পদত্যাগ না করলে জুতাপেটা করা উচিত।’ পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে তাদের আবার লজ্জা আছে নাকি!’ তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী নন এ দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করেন। সে সময় বিষয়টি একাধিক জাতীয় গণমাধ্যমে এ অভিযোগ করেন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয় সেকান্দারের বিরুদ্ধে।
একাডেমিক কাজ থেকে অব্যাহতি : শিক্ষক আবু সালেহ সিকান্দারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের লিখিত অভিযোগ দেন সাবিকুন্নাহার রিপা ও ফারজানা নাজনীন নামে বিভাগের দুই ছাত্রীসহ চারজন। পরবর্তীতে শিক্ষকের ক্লাস করতে চান না মর্মে আরো ২২ জন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেন। এসব অভিযোগে ২০১৯ সালে বিভাগটির ৭১তম একাডেমিক কমিটিতে সব শিক্ষক একাডেমিক সব কর্মকাণ্ড থেকে সিকান্দারকে অব্যাহতি দেন।
এরপরেই একের পর এক সিনিয়র শিক্ষক, ডিন, প্রক্টর, ভিসিদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকে আবু সালেহ সেকান্দারের ফেসবুক অশালীন পোস্ট। পোস্টে শিক্ষকদের চোর, বাটপাড় ও নানা গালিগালাজ উল্লেখ করায় শিক্ষকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ৯৭তম একাডেমিক সভায় সব শিক্ষক স্বাক্ষর করে ভিসি বরাবর আবেদন করে সিকান্দারের কঠোর শাস্তির দাবি জানান ইসলামের ইতিহাস বিভাগ। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল সেকান্দারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বলে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা নৃশংসতার নতুন পর্যায়ে, আদালতের হস্তক্ষেপ দরকার শার্ক ট্যাংকে‘ওস্তাদ’ পেল ১ কোটি টাকা মিরসরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার ঢাকা মেডিক্যাল কেন্দ্রিক কোনো দালাল থাকবে না : বাহাউদ্দিন নাছিম বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর রংপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ৩টি এলএমএনজি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে টিএমএসএস-এর সাবেক পরিচালকের জেল ও জরিমানা তজুমদ্দিনে ঢাকাগামী লঞ্চ থেকে ৩০০ কেজি পাঙ্গাসের পোনা আটক আওয়ামী লীগ কারো দয়া-দাক্ষিণ্য নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি : নানক

সকল