০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কিশোরগঞ্জে বিষ দিয়ে দেড় শ’ গাছ নিধন

-

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের উত্তর সিঙ্গেরগাড়ি গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে এক কৃষকের জমিতে লাগানো ১৫৭টি গাছ রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক গত ৭ অক্টোবর ১১ জনের নাম উল্লেখ করে নীলফামারী আদালতে একটি মামলা করেছেন।
অভিযোগ থেকে ও সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মাগুরা ইউনিয়নের উত্তর সিঙ্গেরগাড়ি পারেরহাট গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন প্রায় ২৫ বছর আগে বিদেশে থাকাকালে একই গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে কবলা দলিল মূলে ২৫৩৩ দাগে এক শতক ও ২৫৩৪ দাগে ২৪ শতক জমি কেনেন। যার দলিল নম্বর ৩৮০৮। ২০০৬ সালে জয়নাল ওই ২৫ শতক জমি থেকে ১৫ শতক জমি উত্তর সিঙ্গেরগাড়ি গ্রামের লাভলু মিয়ার স্ত্রী সামিনা বেগমের কাছে বিক্রি করে বাকি দশ শতক জমি নিজের কাছে রেখে দেন। জয়নাল আবেদিন তার বাকি দশ শতক জমিতে গত ৩ অক্টোবর বিভিন্ন ধরনের ১৫৭টি গাছ লাগিয়ে জমির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন। কিন্তু রাতে কে বা কারা বাঁশের বেড়া উপড়ে ফেলে রাসায়নিক দ্রব্য ছিটিয়ে গাছগুলো মেরে ফেলে।
ভুক্তভোগী কৃষক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমার বাড়ি থেকে জমির দূরত্ব এক কিলোমিটার। জমিটি রংপুর ভিন্নজগৎ রোডের পাশে হওয়ায় বর্তমানে জমির দাম বেড়ে গেছে। তাই আমি যাতে বাকি জমিটুকু লাভলুর কাছে বিক্রি করে দেই সেজন্য লাভলু রাতে তার বাবা তরিকুল, চাচা আমিনুর ও মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মনছুর আলীকে নিয়ে রাতের কোনো এক সময় বাঁশের বেড়া উপড়ে ফেলে গাছগুলোতে রাসায়নিকদ্রব্য ছিটিয়ে মেরে ফেলে।
মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন-অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিক জয়নাল আবেদিন নীলফামারী কোর্টে ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দিয়েছেন। কোর্ট থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য থানায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement