২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লিগ তো নয় যেন এশিয়ান গেমস

-

তিন দিন আগে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল মশিহুজ্জামান সেরনিয়াবত ডিসেম্বরে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তাতেই খুশির আভা ছড়িয়ে পড়েছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। পাশাপাশি সন্দেহও প্রকাশ করছেন আসলেই লিগ হবে তো। আর হলেও প্রাপ্য পারিশ্রমিক পাবো তো। তিনবাহিনী (বিমান, নৌ, সেনা) আছে বলে কিছু খেলোয়াড়ের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের বাইরে আট গুণ প্লেয়ারের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয় দলবদলে। সেটিই হচ্ছে না তিন বছর ধরে। কয়েক বছর পরপর লিগ হয় বলে কেউ এটির নাম দিয়েছেন এশিয়ান গেমস। সংক্ষেপে যা এশিয়াড। যা চার বছর পর পর হয়।
ডিসেম্বরে লিগ হওয়া এবং পারিশ্রমিক নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন অনেকেই :
মামুনুর রহমান চয়ন (মেরিনার্সের অধিনায়ক) : যদি সবাই পজিটিভ থাকে তাহলে প্রেসিডেন্টের কথার মূল্য থাকবে। উনি হকির লোক না হলেও ম্যানেজমেন্টের দিক থেকে উঁচু মানের। এক কমান্ডে থাকলে লিগ হতে পারে। তা না হলে চলতি বছরে সম্ভব না। তিন বছর লিগ নেই বলে খেলোয়াড়রা টাকার জন্য ক্ষুধার্ত। হকি দল গড়তেই টাকা থাকে না ক্লাবগুলোর। ৩-৪ জন পায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। শীর্ষ সারির ৩০ জন হিসাব করলে গড়ে ২ লাখ টাকাও হয় না।
ইমরান হাসান পিন্টু (মোহামেডানের অধিনায়ক) : প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পর ঈদের মতো খুশি হয়েছে। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি, হকি লিগ শুরুর কথা উঠলেই ফেডারেশন ও ক্লাবগুলোর মাঝে অসহযোগিতা শুরু হয়। ক্লাবগুলো ক্রিকেট ফুটবল সব চালাতে পারে শুধু হকির ক্ষেত্রেই টাকা থাকে না। প্লেয়ার এখন কর্মকর্তা হয়ে যদি প্লেয়ারদের দুঃখ না বুঝেন তাহলে কে বুঝবে। হকিতে বসুন্ধরা কিংবা সাইফ পাওয়ার টেকের মতো দলকে কেন ভেড়াচ্ছে না।
শফিকুল ইসলাম অনিক (ফরোয়ার্ড) : তারিখ তো ঠিকই হয় কিন্তু মাঠে গড়াবে কি না সে ব্যাপারে যথেষ্ট পরিমাণে সন্দেহ আছে। প্রাপ্য পারিশ্রমিক কখনো পাই না। এটা দুঃখজনক। আগেই তো কম দিত এবার লিগ হলে করোনার দোহাই দিয়ে আরো কম দিবে।
অসীম গোপ (জাতীয় দলের গোলরক্ষক) : ক্লাব কর্মকর্তারা সবসময়ই পারিশ্রমিক কমানোর ইস্যু খোঁজেন। এবার আর কিছু খুঁজতে হবে না। বাহফেতে বর্তমানে যারা আছেন তারা সবাই খেলোয়াড় ছিলেন। মাঠে খেলা গড়ানোর জন্য তাদের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। তিন চার বছর পর পর লিগ হয় বলে আমরা প্রিমিয়ার লিগের নতুন নাম দিয়েছি এশিয়ান গেমস।
রাসেল খান বাপ্পি (সাবেক জাতীয় দলের গোলরক্ষক) : বাহফেতে যারা আছেন তারা তো ক্লাবেরই লোক। একজন প্লেয়ার সারা বছর অপেক্ষা করে দলবদলের। মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত পজিটিভ। কিন্তু উনার হাতে সবকিছু নেই।

 


আরো সংবাদ



premium cement