০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লক্ষ্যমাত্রা ১০৮ মিলিয়ন কেজি

তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের চা উৎপাদন ব্যাহত

-


অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে দেশে চলছে তীব্র তাপদাহ সেই সাথে চলছে প্রচণ্ড খরা বা অনাবৃষ্টি। সে কারণে দেশের চা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চলতি ২০২৪ মৌসুমে দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৮ মিলিয়ন কেজি। তার বিপরীতে মার্চ পর্যন্ত গত তিন মাসে দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ১.২৭০ মিলিয়ন কেজি। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে উৎপাদন হয়েছে ০.১৭৫ মিলিয়ন কেজি, ফেব্রুয়ারিতে ০.০৪২ মিলিয়ন কেজি এবং মার্চ মাসে উৎপাদন হয়েছে ১.০৫৩ মিলিয়ন কেজি। অপর দিকে ২০২৩ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০২ মিলিয়ন কেজি তার বিপরীতে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে উৎপাদন হয়েছিল ১০২.৯১৮ মিলিয়ন কেজি। ওই মৌসুমের জানুয়ারিতে উৎপাদন হয়েছিল ০.৩৬৪ মিলিয়ন কেজি, ফেব্রুয়ারিতে ০.০৪৬ মিলিয়ন কেজি এবং মার্চে ২.০৪৬ মিলিয়ন কেজিসহ তিন মাসে২.৪৫৭ মিলিয়ন কেজি। একই ভাবে ২০২২ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ মিলিয়ন কেজি তার বিপরীতে জানুয়ারিতে উৎপাদন হয়েছে ০.৫০৭ মিলিয়ন কেজি ফেব্রুয়ারিতে .০৩৩ মিলিয়ন কেজি এবং মার্চের ১.৫৮৫ মিলিয়ন কেজিসহ তিন মাসে উৎপাদন হয়েছিল ২.১২৫ মিলিয়ন কেজি। ওই বছর অনাবৃষ্টিসহ বিভিন্ন কারণে উৎপাদন অর্জিত হয়েছিল ৯৩.৮২৯ মিলিয়ন কেজি। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য ) যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী। গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন প্রতি বছর উৎপাদন মৌসুম শুরু থেকে একাধারে এপ্রিল কোনো কোনো বছর মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অনাবৃষ্টির কারণে দেশে চা উৎপাদন ব্যাহত হলেও চলতি মৌসুমে চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছেন ওই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, প্রতি বছর চা উৎপাদন মৌসুমের জানুয়ারি থেকে শুরু করে এপ্রিল ও মে মাস অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে দেশে চা উৎপাদন ব্যাহত হয়ে আসছে। তার পরও চা উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড গ্রহণ করেন নানামুখী কার্যক্রম আর এই নানামুখী কার্যক্রমের কারণে দেশে চা উৎপাদন ও চা উৎপাদনের পরিধিও বাড়ছে।
গত মৌসুমে (২০২৩) চা উৎপাদনের অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম দেশের ১৬৮টি চা বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ মোট ১০২.৯২ মিলিয়ন কেজি চা বা ১০২.৯১৮ মিলিয়ন কেজি উৎপাদিত হয়েছিল ।

 


আরো সংবাদ



premium cement