০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইন্দোরেই শুরু গোলাপি বলের প্রস্তুতি

-

শুরু হয়ে গেছে গোলাপি বলের হিসাব-নিকাশ। যে বাংলাদেশ একটি ম্যাচও খেলেনি তারা হুট করে কী বুঝে রাজি হয়ে গেছে ডে-নাইট টেস্ট ম্যাচ খেলতে সেটি বিসিবিই ভালো বুঝবে। প্রথম টেস্ট ম্যাচ তিন দিনে শেষ হওয়ার পর গোলাপি বলেও যদি ভরাডুবি হয়, সে লজ্জা রাখবে কোথায় বাংলাদেশ! অনেকেই গোলাপি বলে ভারতের অনভিজ্ঞতাটাও তুলে আনছেন। কিন্তু এটাও ঠিক, ভারতের সবাই গোলাপি বলে খেলেনি। তবে কেউ কেউ খেলেছেন। তার কাছ থেকে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। প্র্যাকটিসও করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ যদি লাল বলে ভালো করত, তা হলে গোলাপি নিয়ে অতটা টেনশন না করলেও চলত! কিন্তু লাল বলের টেস্টে ভরাডুবির পর পরের ম্যাচটা একইভাবে হলে অবস্থান পর্যালোচনা করে নামতে পারতেন। কিন্তু বল নিয়েই যেখানে টেনশন সেখানে প্ল্যান হবে কিভাবে। জানা গেছে, গোলাপি বলের সাইনিং দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। দিবা-রাত্রির ম্যাচে ওই বল কতটা সুইং করবে, না কেমন হবে সেটাই চিন্তার বিষয়। তা ছাড়া শিশিরও পড়ে এ সময়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই শিশির। দিল্লিতে দেখা গেছে, ইন্দোরেও টি-২০ ম্যাচে শিশিরের ছিল প্রভাব। যেহেতু দিবা-রাত্রির টেস্ট, তাই শিশির সিক্ত বল কেমন হবে সেই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেটারদেরই শুধু নয় কোচিং স্টাফেরও। কারণ তাদের তো আগে বিষয়গুলো বুঝতে হবে। এরপর তো অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন খেলোয়াড়দের সাথে। স্বাভাবিক, খেলোয়াড়দের সব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না কোচদের কাছে। এটা একটা বিব্রতকর অবস্থাও।
তিন দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার পর গত পরশু যেমন অনুশীলন করেছে টিম বাংলাদেশ, তেমনি গতকালও দিবা-রাত্রি অনুশীলন করেছে টিম বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রা গোলাপি বল নিয়ে ব্যাটিং-বোলিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এটাও ঠিক, দুই দলের জন্যই এটি এসিড টেস্ট। ভারত গত অস্ট্রেলিয়া সফরে গোলাপি বলে টেস্ট খেলার প্রস্তাব পেলেও বিরাট কোহলিরা রাজি হননি। এবার নিজ মাটিতে খেলতে রাজি অনেকটাই পরখ করে দেখার জন্যই। এতে দুর্বল বাংলাদেশকেই বেছে নিয়েছে। বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীই মূলত কলকাতা টেস্টে গোলাপি বলে খেলার উদ্যোগ নিয়েছেন। কলকাতার টেস্ট ম্যাচটা জাঁকজমক করতে আরো কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তেমনি বাংলাদেশ দলের অভিষেক টেস্ট ম্যাচে খেলা খেলোয়াড়দের অনেককেই তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট ম্যাচে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন বর্তমানে বিসিবির পরিচালক নাঈমুর রহমান দূর্জয়।
গোলাপি বলের অনুশীলনের শিডিউল ছিল কলকাতাতেই। যেহেতু সুযোগ পেয়েছেন তাই ইন্দোরেই এক ধাপ সেরে নিয়েছেন। যার মাধ্যমে কিছুটা হলেও অভিজ্ঞতা নেয়া সম্ভবপর হয়। তবে এটা ঠিক, নেটে অনুশীলন আর ম্যাচ প্র্যাকটিস এক নয়। বাংলাদেশের অন্তত একটা দুই দিনের ম্যাচ হলেও খেলতে পারলে সেটা হতো খুবই উপকার। তা ছাড়া একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ওই প্রস্তাবে রাজি হয় বিসিবি। একটু আগেভাগে হলেও জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) অন্তত একটি ম্যাচ হলেও খেলানোর চেষ্টা করতে পারতেন ক্রিকেটাররা অথবা একটা দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও খেলে যেতে পারতেন। দিবা-রাত্রি, রঙিন প্যাড, ফ্লাড লাইটের আলো, শিশির। অনেকগুলো ইস্যু সামনে রেখেই বিরাট কোহলিদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাঠে নামতে হচ্ছে মুমিনুল, মুশফিকদের। ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ওই ম্যাচ, ইডেনে।


আরো সংবাদ



premium cement