০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


‘কৌশিক’ ডাকায় অবাক মাশরাফি

-

বাংলাদেশ দলের জনপ্রিয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ডাক নাম কৌশিক। একমাত্র প্রিয়জন ছাড়া এই নামে কেউ তাকে ডাকেন না। মাশরাফির আড়ালে হারিয়ে গেছে কৌশিক নামটি। দীর্ঘ ১৮ বছর পর কোনো এক বিদেশী তাকে কৌশিক নামে ডাকায় অবাক হয়েছেন মাশরাফি। আর এই বিদেশী ভদ্রলোকের নাম ক্যারিবীয় কিংবদন্তি অ্যান্ডি রবার্টস।
প্রিয় কৌশিকের ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে একটা উইকেটও নেই। চার দিক থেকে সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন। প্রিয় শিষ্যের এই সমালোচনা মানতে পারছেন না এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। তার নম্বর জোগাড় করে ফোন করলেন। সাহস ছড়িয়ে বললেন, ‘দুশ্চিন্তা করো না। শুধু নিজের সেরাটুকু দিয়ে যাও। সব ঠিক হয়ে যাবে।’
১৮ বছর আগে, ২০০১ সালে এই রবার্টসের জোর প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব মাশরাফির। অ্যান্ডি রবার্টসের এমন এক ফোনে অবাক হয়ে যান মাশরাফি। প্রিয় গুরুর বার্তায় নিজের আনন্দঘন এক অনুভূতির কথা ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। বিশ্বকাপ দেখতে ইংল্যান্ডে এসেছিলেন ৫৬টি টেস্ট ও ৪৭টি ওয়ানডে খেলা অ্যান্ডি রবার্টস। স্বদেশ উইন্ডিজের খেলা দেখাই ছিল উদ্দেশ্য। এসে জানলেন মাশরাফির দিনকাল খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। তার স্বদেশী বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের থেকে নম্বর নিয়ে ফোন দেন কৌশিককে।
মাশরাফি জানান, ‘অবশ্যই অবাক হয়েছি। কারণ এখন তো ওনার বয়স হয়েছে। এখনো আমার খোঁজখবর রাখেন। আমাকে এখনো কৌশিক নামেই ডাকেন। ওয়ালশ জানে রবার্টসের সাথে আমার কথা হয়। আবার গ্যাপও থাকে। মাঝে মধ্যে কথা হয়। আমার নম্বর আবার নতুন করে নিয়েছে ওয়ালশের থেকে, আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। বলেছে সবকিছু ঠিকই আছে। একটা সময় আসে এ রকম। বলেছে, যা কিছু করি যেন মন থেকে করি এবং সেরাটা দেয়ার যেন চেষ্টা করি। ’
২০০১ সালে দুই সপ্তাহের ট্রেনিংয়ে বিকেএসএপিতে গিয়েছিলেন রবার্টস। সেখানেই মাশরাফির সাথে পরিচয়। দেখেই ১৭ বছর বয়সী মাশরাফির বোলিংয়ে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান তিনি। মূলত তার প্রচেষ্টাতেই সে বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় ম্যাশের। ১৮ বছর আগে রবার্টসকে দেখার সেই অনুভূতি এখনো চোখে ভাসে মাশরাফির। ‘উনাকে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। আমি, তালহা জুবায়ের, আনোয়ার হোসেন মনির, মাহবুবুল আলম রবিন, শাফাক আল জাবির, সৈয়দ রাসেল, তারেক আজিজ, আলমগীর কবির সবাই ছিলাম। শেখার থেকে ওনার দিকেই তাকিয়ে থাকতাম। ওনার বোলিং দেখার সৌভাগ্য হয়নি, রেকর্ড সম্পর্কে শুনেছি। ইউটিউব আসার পর ওনাকে আস্তে আস্তে জেনেছি। ওনার ক্লাসে অসাধারণ ছিল মুহূর্তগুলো। আমার জন্য এ অনেক বড় পাওয়া যে ওনার মতো এত বড় একজন ক্রিকেটার শুধু আমাকে শিখিয়েই শেষ করেননি, আমার খোঁজখবর রাখছেন নিয়মিত।’


আরো সংবাদ



premium cement