একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গতকাল সোমবার, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা সংরক্ষণ ও বিকাশ : সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
আলোচক হিসেবে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, গবেষক লে. কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: আমজাদ হোসেন, আরমা দত্ত এমপি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, সংগঠক লেখক মারুফ রসুল ও নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।
সভাপতির প্রারম্ভিক ভাষণে শাহরিয়ার কবির বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের অনন্যসাধারণ অর্জনের পাশাপাশি অপ্রাপ্তির বিষয়েও বলা প্রয়োজন, বিশেষভাবে যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শের সাথে যুক্ত।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনন্যসাধারণ ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেশে ও বহির্বিশ্বে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথার পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগীদের নৃশংসতার বিবরণ সমানভাবে থাকতে হবে। সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি পাঠ্যসূচিতে ৫০ নম্বর মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা এবং ৫০ নম্বর থাকতে হবে প্রতিপক্ষের ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের ভয়াবহতা ও নৃশংসতার কথা। এর ফলে তরুণ প্রজন্ম বুঝতে পারবে তারা কোন পক্ষে থাকবে। বিসিএসের প্রশ্নপত্রে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষের ইতিহাসের ওপর প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করতে হবে।
নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, সবার অবহেলা উদাসীনতার সমাজ মৌলবাদীদের দখলে চলে গেছে। সাম্প্রদায়িকতা বহুগুণে বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে এবং তাদের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, মাদরাসায় এবং অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০০ নম্বরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনার পাঠ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
লে. কর্নেল (অব:) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের হাতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের পতাকা সঠিকভাবে তুলে দিতে পেরেছি কি না, তা দেখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কবর অনেক জায়গায় হারিয়ে গেছে। এগুলো শনাক্ত ও সংরক্ষণ করা দরকার। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা