৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিদেশফেরতদের অর্ধেকের অবস্থানও শনাক্ত করতে পারেনি ঢাকার দুই সিটি

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
-

গত ১ মার্চ থেকে দেশের বাইরে থেকে আসা তিন হাজার ৭৩২ ব্যক্তিকে খুঁজছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বিদেশফেরত রয়েছেন দুই হাজার ৪৯২ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় রয়েছেন এক হাজার ২৪০ জন। তবে জানা গেছে, দুই সিটি করপোরেশন এসব ব্যক্তির মধ্যে অর্ধেকের সন্ধানও এখনো পায়নি। দক্ষিণ সিটি এক হাজার ২৪০ জনের মধ্যে মাত্র ৫৯২ জনের অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছে। একইভাবে উত্তর সিটিও সব বিদেশফেরতের হদিস মেলাতে পারেনি। অবস্থান শনাক্তকারীরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও বাকিরা কোথায় অবস্থান করছেন তা জানতে পারেনি দুই সিটি। এতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের উহান প্রদেশে প্রথম এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এ রোগের বিস্তার ঘটেছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যু এবং আরো ৪৮ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এসব আক্রান্তদের বেশির ভাগই বিদেশফেরত অথবা তাদের পরিবারের সদস্য। এ কারণে সরকার গত ১ মার্চ থেকে বিদেশফেরতদের তালিকা করে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব বিদেশফেরতের তালিকা সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসন ও সংস্থাকে দেয়া হয়েছে। যাতে তারা এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে পারেন। সেভাবে সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকা এক হাজার ২৪০ জনের তালিকা পাঠিয়েছে। তাদের সন্ধান করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মীর মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা এক হাজার ২৪০ জনের মধ্যে ৫৯২ জনের অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছেন। বাকিদের অবস্থান এখনো জানা যায়নি।
একইভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গত ১ মার্চ থেকে বিদেশ থেকে দুই হাজার ৪৯২ জন প্রবাসী এসেছেন। তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। তবে এখনো সবার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ডিএনসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমিনুর রহমান মামুন। নয়া দিগন্তকে তিনি বলেন, আমরা শনাক্ত করার জন্য কাজ করছি। যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে সবার অবস্থান এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে ডিএনসিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, এখনো ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থান করা অর্ধেক বিদেশফেরতেরও অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে করোনাভাইরাস আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement