৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কাশিয়ানীতে আবার কিস্তি আদায়ে বেপরোয়া এনজিওকর্মীরা

-

মহামারী করোনার কারণে সরকার জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত করলেও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শুরু হয়েছে এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় কার্যক্রম। এনজিও কর্মীরা ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে পরবর্তী সময়ে আর ঋণ দেবে না এমন শঙ্কায় অনেকে মুখ খুলছেন না। অনেকে সুদে টাকা এনেও কিস্তি দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনায় দিনমজুর, শ্রমজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকানপাট-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ঘরে অবস্থান করেন। দীর্ঘ আড়াই মাস আয়রোজগার বন্ধ থাকায় ঘরে থাকা মানুষের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। এরপরও আবার কিস্তির জন্য তাড়া করছেন এনজিও কর্মীরা। এক দিকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক, আর অন্য দিকে এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকার বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা কেটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা হোকÑ এমনটাই দাবি ঋণগ্রহীতাদের।
সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে কাকডাকা ভোরেই এসব এনজিওর কয়েক শ’ কর্মী বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য বেরিয়ে পড়ছেন। এ দুঃসময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দিনমজুর পরিবারগুলোর জন্য এনজিওর কিস্তির টাকা যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিস্তির টাকা নিয়ে ঋণগ্রহীতাদের সাথে এনজিও কর্মীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাত-পা ধরেও রেহাই পাচ্ছেন ঋণগ্রহীতারা। কিস্তির টাকার জন্য এনজিওর কর্মীরা গরু-ছাগল নিয়ে যাওয়ার এবং ভবিষ্যতে ঋণ দেয়া হবে না এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আরো ভয়বহ সংবাদ হচ্ছে এ দুঃসময়ে কর্মহীন মানুষ কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেকে স্থানীয় সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধ করছেন। আবার অনেকে এনজিও কর্মীদের ভয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে দোকান খুললেও করোনাভাইরাসের কারণে বাজারে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম। কেনাবেচা একেবারেই নেই। সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি। এরপর আবার এনজিওর লোকজন এসে কিস্তির টাকা জন্য চাপ দিচ্ছেন।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি এনজিওর ম্যানেজার বলেন, ‘লোন আদায়ের কার্যক্রম চলছে তাবে আমরা কোনো চাপ দিচ্ছি না। তবে কিস্তি নিতে গেলে সুফলভোগীদের সাথে একটু চাপাচাপি করতে হয়।’
রামদিয়া গ্রামের শিখা বেগম বলেন, রাত পোহালেই কিস্তির জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে চলে আসছেন। যতক্ষণ টাকা পরিশোধ না করা হয় ততক্ষণ এনজিও কর্মীরা বাড়ি থেকে যেতে চান না এবং পরবর্তী সময়ে ঋণ দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, জোর করে কোনো এনজিও কিস্তি আদায় করতে পারবে না। যদি কোনো এনজিও কর্মী জোরপূর্বক গ্রাহকের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করে থাকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? আইডিবি ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্লিঙ্কেনের জর্ডান যাত্রা বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং ‘আইসিজের গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরাইল’ ‘আনারসের পাতা থেকে সিল্কের জামদানি শাড়ি আশার আলো জাগাবে’

সকল