২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইডেন-গোলাপি-রোমাঞ্চ

-

ঐতিহাসিক ভেনু ইডেন গার্ডেনে খেলা। প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ও ভারত। স্বাভাবিক কারণেই রোমাঞ্চের গ্রাফ থাকবে ঊর্ধ্বমুখী। উভয় দলের ক্রিকেটাররা মুখিয়ে আছেন নতুন এক রহস্য উন্মোচনের জন্য। ঐতিহাসিক এই টেস্টে ইতিহাস রচনা করতে যেন তর সইছে না। লালসবুজের সদস্য আল আমিন হোসেনও জানালেন তর সইছে না কারো- কখন নামবেন খেলতে। পাশাপাশি কিছুটা ভয়মিশ্রিত ভালোবাসা, আবেগ।
গতকালই ইন্দোর থেকে কলকাতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। হোটেল ছাড়ার আগে পেসার আল আমিন জানান, ‘আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে আছি। সামনে ঐতিহাসিক টেস্ট, গোলাপি বলে। এখানে ভারতও অপরিচিত, আমরাও অপরিচিত। বলটাও নতুন। সেই হিসেবে মনে হয়, ভালো একটা চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হবে। শেষ তিন চার দিন আমরা অনুশীলন করেছি। কলকাতায় যাওয়ার পর দুই তিন দিন সুযোগ পাবো। সবকিছু মিলে অতীতে যা ঘটেছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে সামনে এগোনো খুব কঠিন। আমরা চিন্তা করছি দলগতভাবে কিভাবে ভালো খেলার পাশাপাশি প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। সে চেষ্টাই থাকবে কলকাতা টেস্টে।’
ঘুরেফিরে সেই গোলাপি বলের প্রশ্ন এবং উৎকণ্ঠা। গোলাপি বলে সুইং অনেক বেশি। পেসাররা পেতে পারেন বাড়তি সুবিধা। ইডেনের উইকেটে স্বাভাবিকের তুলনায় এখনো ঘাস অনেক বেশি। ¯্রফে এগুলো হলেই উইকেট মিলবে এমন না, আল আমিন মনে করেন ভালো লাইন, লেন্থের কোনো বিকল্প নেই। ‘ভালো জায়গায় বল করতে হবে। হ্যাঁ, একটু ব্যবধান আছে। লাল বলের চেয়ে সিম একটু শক্ত। শাইন করা যায় খুব সহজে। সেক্ষেত্রে সবকিছু মিলিয়ে ভালো হবে মনে হয়। বলটা খুব ভালো। এখন বল ভালো, সবকিছু ভালো, কন্ডিশনও যদি ভালো থাকে আমরা যারা পেসার খেলবো তাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যাবে। কারণ ভালো জায়গায় বল করতে না পারলে ওদের সমস্যায় ফেলা যাবে না।’
আল আমিনের ভাবনায় আছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরাও। আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১১তে আছে ভারতের পাঁচ ব্যাটসম্যান। তা ছাড়া নতুন বলের চেয়ে পুরানো গোলাপি বলে ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ বেশি দেখছেন আল আমিন। ‘ওদের সব ব্যাটসম্যানই টপ ক্লাস ব্যাটসম্যান। র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে ওদের দুই-তিনজন ব্যাটসম্যান আছে। গোলাপি বলে বোলারদের জন্য তাই একটা পরীক্ষা বলে আমার মনে হয়। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে দেয়া হবে তখন বলের মুভমেন্ট অনেক বেড়ে যাবে। অনুশীলনের সময় এমনই বুঝা গেছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। এখানে যে দলের বোলাররা ভালো করবে সেই দল টেস্টে এগিয়ে থাকবে।’
আপাতত নতুন বলের সুইং বোঝার দিকেই মনোযোগ বাংলাদেশের। কলকাতা গিয়ে পানিতে বল ভিজিয়ে অনুশীলনের কথা বললেন আল আমিন, ‘আমরা গোলাপি বলে খেলিনি কখনো। সাদা বলে খেলেছি, লাল বলেও খেলেছি। গোলাপি বলটা সবার জন্যই নতুন। একটু ভিন্নভাবে তৈরি। সবার জন্যই প্রতিবন্ধকতা হবে। বল ভিজে গেলে আমাদের জন্যও ভেজা থাকবে, ভারতের জন্যও ভেজা থাকবে। ওদের ব্যাটসম্যানদেরও অসুবিধা হবে, আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও হবে। আমরা যারা পেস বোলার আছি এখনো বল ভিজিয়ে অনুশীলন করিনি। নতুন বলে কিভাবে সুইং পাওয়া যায় ও বলটা ব্যবহার করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। হয়তো কলকাতায় গিয়ে যদি টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা থাকে বা আমরাও দেখি সন্ধ্যার পরের অনুশীলন বল ভিজে যায়, তখন আমরা ওভাবে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।’

 


আরো সংবাদ



premium cement