২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে কোহলির তৃতীয় ‘শূন্য’ টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলীর রেকর্ড ভাঙ্গলেন আগারওয়াল-রাহানে

-

পুজারা আউটের পর খেলতে নামেন কোহলি। রাহীর করা ওভারের শেষ বলটি ইয়র্কার লেন্থে থাকলেও সেখান থেকে কোনো রান হয়নি। এবাতদের পরের ওভারটি খেলেন আগারওয়াল। আবারো রাহী। এবারো ৪ বল খেলার পর পঞ্চম বলটি মোকাবেলায় বিরাট। কিন্তু রাহীর সুইং করা বল পেছনের পায়ের প্যাডে আঘাত হানলে লেগ বিফোরের আপিল টিম বাংলাদেশের। কিন্তু আম্পায়ার দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে নিশ্চিত লেগ বিফোর! বিরাট কোহলি আউট। রাহী, মাহমুুদুল্লাহ, মুমিনুলরা নেচে ওঠেন আনন্দে। গোটা ইন্দোর চেন চুপ! শূন্য রানে আউট দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারত অধিনায়ক। বিস্ময়ের ঘোর কাটছিল না যেন। কিন্তু ক্রিকেট তো এমনই। অনিশ্চয়তার খেলা। তখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশও বোধ হয় কিছুটা হলেও কোণঠাসা করে ফেলবে ভারতকে। কিন্তু দিন শেষে সেটা আর কই পারলেন। রাহী একাই সফল, চার উইকেট নিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে ভারতীয়রা। দিনের শেষ হাসিটা তাই স্বাগতিকদেরই। তবু মনের কোণে তাদের একটা কষ্ট থেকেই গেছে। বিরাট কোহলি। শূন্য রানে ফিরিয়েছেন যে তাকে বাংলাদেশের বোলাররা। আসলে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের মাটিতে বিরাট কোহলির ওই শূন্য রানের আউট ছিল তৃতীয় ‘ডাক’। ৮৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০মবারের মতো শূন্য রানে আউট হন অবশ্য সফল এ ব্যাটসম্যান বিরাট। যা দেশের মাটিতে তৃতীয়। ২০১১ সালে টেস্টে অভিষেকের পর ২০১৭ সালে দেশের মাটিতে প্রথম শূন্য রানে আউট হন কোহলি। পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ বল খেলে আউট হয়েছিলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ওই বছরই নভেম্বরে কলকাতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১ বল মোকাবেলা করে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মানে শূন্য রানে আউট। এর দুই বছর পর আবারো দেশের মাটিতে শূন্য রানে আউটের লজ্জা পেলেন এ ডাক সাইটের ব্যাটসম্যান।
উল্লেখ্য, এর আগে একবার ২০০৪ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।
এ দিকে ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়লেন ভারতের ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও আজিঙ্কা রাহানে। ভারতের প্রথম ইনিংসে চতুর্থ উইকেটে ১৯০ রানের জুটি গড়েন আগারওয়াল ও রাহানে। ভেঙে ফেলেন শচীন টেন্ডুলকার সৌরভ গাঙ্গুলীর ১২ বছরের পুরনো রেকর্ড। ২০০৭ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে ১৮৯ রান যোগ করেছিলেন টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী। তবে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটি ভাঙতে পারেননি আগারওয়াল-রাহানে। কারণ বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ রান ২২২। ২০১৭ সালে হায়দারাবাদে চতুর্থ উইকেটে ২২২ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি ও রাহানে। রানের হিসাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সেরা জুটি ২৮৩ রান। ২০১৫ সালে ফতুল্লায় উদ্বোধনী জুটিতে ২৮৩ রান করেছিলেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও মুরালি বিজয়।
গতকাল ১৯০ রানের জুটি গড়ার পথে আগারওয়াল ১০০ ও রাহানে ৮৬ রান করেন। রাহানেকে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে থামিয়ে এই জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement