২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৯টিতে স্বর্ণপদকের প্রত্যাশা বাংলাদেশের

১০ ডিসিপ্লিনে খেলছে না ভারত
-

নেপালে অনুষ্ঠিতব্য এসএ গেমসের ২৭টি ডিসিপ্লিনে খেলা হলেও ভারত অংশ নিচ্ছে না ক্রিকেট, গলফ, কারাতে, কাবাডি, প্যারাগ্লাইডিং, টেবিল টেনিস, টেনিস, রেসলিং (কুস্তি), তায়কোয়ান্ডোসহ মোট ১০টিতে। তাতেই বিভিন্ন দেশের কাছে সুখের আবহ তৈরি হয়েছে এই কয়েকটি ইভেন্টকে ঘিরে। ১০টি ইভেন্টের মধ্যে একমাত্র প্যারাগ্লাইডিং ছাড়া বাকি ৯টিতেই স্বর্ণপদকের প্রত্যাশা বাংলাদেশের।
ভারতের দৃষ্টি এখন অলিম্পিককে ঘিরে। সাউথ এশিয়ান গেমসকে তাই আমলে নিচ্ছে না তারা। অথচ এই সাউথ এশিয়ান গেমস দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়াবিদদের কাছে ‘অলিম্পিক’ হলেও ভারতের কাছে গুরুত্বহীন। এ তথ্য জানায় এজেন্সি নিউজ অব ইন্ডিয়াসহ (এএনআই) ভারতীয় বেশ কয়েকটি মিডিয়া।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের ক্রীড়াবিদরা স্বপ্নের জাল বোনেন এসএ গেমসকে ঘিরে; কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের ক্রীড়াবিদরা সেই কাজটি করেন অলিম্পিক গেমসে পদক জিততে। তাই এসএ গেমসকে তারা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের জাতীয় দলকে দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন করানো হয় অলিম্পিকে অংশ নেয়ার জন্য। তাই ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন তাদের ‘বি’ এবং ‘সি’ দলকেই পাঠায় এসএ গেমসে। তারপরও দক্ষিণ এশীয়ায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সেরার স্থানে থাকে তারাই। যথারীতি পদক তালিকার শীর্ষে থাকে ভারতই। সর্বশেষ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২২ ডিসিপ্লিনের ২২৬টি ইভেন্টে ১৮৮টি স্বর্ণ, ৯০টি রুপা ও ৩০টি ব্রোঞ্জপদক জিতে শীর্ষে ছিল যথারীতি স্বাগতিক ভারতই।
গত ১২টি এসএ গেমসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১১০০টি স্বর্ণ, ৬৫১টি রুপা ও ৩৪৫টি ব্রোাঞ্জপদক জিতেছে তারা। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের অর্জন ৩২৯টি স্বর্ণ, ৪১৭টি রুপা ও ৩৯৮টি ব্রোঞ্জপদক। তাই এসএ গেমসে নামমাত্র অংশ নেয় ভারত। ১৯২০ সালে বেলজিয়াম ও চার বছর পর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে পদক জিততে পারেনি ভারত। তবে ১৯২৮ আর্মস্টারডাম অলিম্পিক থেকেই তাদের পদক জয়ের ধারাবাহিকতা শুরু। অলিম্পিক গেমসে এ পর্যন্ত ৯টি স্বর্ণ, সাতটি রুপা ও ১২টি ব্রোঞ্জপদক জিতেছে ভারত। এর মধ্যে ফিল্ড হকি থেকেই এসেছে আটটি স্বর্ণ, একটি রুপা ও দু’টি ব্রোঞ্জপদক। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এ পর্যন্ত পাকিস্তান ১০টি এবং শ্রীলঙ্কা দু’টি অলিম্পিক পদক জিতেছে।
১-১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখরাতে অনুষ্ঠেয় গেমসের ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে মাত্র ১৭টিতে অংশ নিচ্ছে ভারত। ফলে এই সুযোগই নিতে পারে বাংলাদশ। কারণ এসএ গেমসে লাল-সবুজদের সামনে স্বর্ণ জয়ে প্রায় প্রত্যেকটি ডিসিপ্লিনেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভারতের প্রতিযোগীরা। টিটি কোচ মোহাম্মদ আলী জানালেন, ‘এখন তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরো বেড়ে গেল। ভারতের কাছে হারলে মান-সম্মান রক্ষা হতো। এখন অন্য দেশের কাছে হারলে মুখ দেখানো যাবে না। আমাদের আরো সিরিয়াস হতে হবে। লড়তে হবে স্বর্ণপদকের জন্য।’


আরো সংবাদ



premium cement