২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তবুও উন্নতির কথা শোনালেন ছোটন

-

২০১৭ সালে জাপানের কাছে ০-৩ গোলে হার। দুই বছর পর সেই জাপান দলের কাছে ০-৯ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া। এবার থাইল্যান্ড আসার আগে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেছিলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার মেয়েরা অনেক অভিজ্ঞ। তারা মাঝে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। এবার তারা তাদের উন্নতির প্রমাণই দেবে।’ কোচের এই কথার সাথে মিল রেখে মারিয়াদের এবার ভালো খেলার কথা এবারের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলে। কিন্তু হলো পুরোপুরি উল্টো। আগের ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে হারকে কপাল মন্দ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা হলেও কালকের লজ্জাজনক হার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। গতবার প্রথম খেলতে এসেই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে তিন গোলে হার। তাও প্রথম ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার কাছে ০-৯তে বিধ্বস্ত হওয়ার পর। সেখানে এবার তো আরো ভালো খেলার কথা। অথচ ময়দানি লড়াইয়ের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার আরো বাজে হার। অল্পের জন্য তা দুই ডিজিটে পৌঁছায়নি। তাহলে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের উন্নতি কতটুকু হলো? কোচ ছোটন অবশ্য এর পরও উন্নতির কথা শোনালেন। তার মতে, বাংলাদেশ টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই আসরের ফাইনাল রাউন্ডে খেলছে। তারা দু’টি বাছাই পর্ব ডিঙ্গিয়ে এই রাউন্ডে এসেছে। এটা অবশ্যই উন্নতির চিত্র। তা ছাড়া বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে বেশ ভালো খেলেছে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে।
কাল এই হারের জন্য বাংলাদেশ কোচ ছয় মিনিটের মধ্যে দুই দুঃখজনক গোলহজমকেই দায়ী করলেন। তার মতে, আমাদের লক্ষ্যই ছিল প্রথম ২০ মিনিটে কোনো গোলহজম করা যাবে না। এরপরও আমরা ছয় মিনিটে দু’টি গোল খেয়ে বসি। এই ধরনের বড় দল এবং সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে শুরুতেই দুইবার নিজেদের জালে বল গেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। সেটাই হয়েছে জাপানের বিপক্ষে এই খেলায়। এরপর কোচ যোগ করেন, বাংলাদেশ শতভাগ দিয়ে খেলেছিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের ক্লান্তি দূর হয়নি জাপানের বিপক্ষে। তাই স্বাভাবিক খেলা প্রদর্শনে ব্যর্থ মারিয়ারা। ছোটন স্বীকার করলেন, জাপানের কাছে হারব এটা আমরা জানতাম। তারা অনেক শক্তিশালী দল। তারা বিশ্বসেরা। তবে ৯ গোলে হারব এটা প্রত্যাশিত ছিল না।
টানা দুই হারে বাংলাদেশকে এখন ২২ তারিখে ঢাকাগামী বিমানে উঠতে হবে। এর আগে তাদের গ্রুপের শেষ ম্যাচ ২১ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২০১৭ সালে প্রথম দুই খেলায় ১২ গোল হজমের পর শেষ খেলায় লালসবুজদের দারুণ লড়াই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১০ জনের বাংলাদেশ ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল। পরে গোলরক্ষকের ভুলে ২-৩ গোলে হার। এবার কি তাদের বিপক্ষে ইতিবাচক কিছু করতে পারবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছোটন জানান, আমাদের এমন ঘুরে দাঁড়ানো অভিজ্ঞতা অতীতেও আছে। আশা করি শেষ খেলায় ইতিবাচক কিছু হবে।
এ দিকে জাপানের কোচ মিছিহিসা কানোও বিস্মত বাংলাদেশের বিপক্ষে এত বড় জয়ে। তার মতে, গত ম্যাচে ড্র করার পর আমাদের লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়া। তবে এত বড় ব্যবধানে জিতব তা ভাবিনি। যোগ করেন, আমাদের পরিকল্পনায় ছিল শুরুতে গোল আদায়। আত্মবিশ্বাস ছিল জিতব। তবে ছয় মিনিটের দুই গোল আমাদের বিশাল জয়ে সাহায্য করেছে।
তার মতে, আমি থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখেছি। তা ফিজিক্যালি ফিট এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন। সেই অনুযায়ী টেকনিক অবলম্বন করা। জাপান ২১ তারিখে পরের ম্যাচ খেলবে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। আর বাংলাদেশর প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ এবং সকারুজ ম্যাচে কারা ফেবারিট। মিছিহাসা কানো এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তৃতীয় ম্যাচে দুই দলের ফুটবলাররাই ক্লান্ত থাকবে। তাই বলা যাচ্ছে না কোন দল ফেবারিট। তবে বাংলাদেশ দলের পাঁচ নাম্বার জার্সিধারী (আঁখি খাতুন) এবং ১০ নং জার্সিধারী (তহুরা খাতুন) খুব ভালো খেলোয়াড়। তাদের নৈপুণ্যের ওপর নির্ভর করছে সাফল্য।


আরো সংবাদ



premium cement