চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু বাংলাদেশের
বাংলাদেশ ৫(মিরাদ ২, আলআমিন, ইমন বাবু, শুভ):২ ভুটান- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
অনূর্ধ্ব-১৫ সাফের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তাই এই দলটির কাছে প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে বড় জয়ই প্রত্যাশিত ছিল। গতকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে দেশের অগণিত ফুটবলপ্রেমীর চাহিদার ব্যতিক্রম করেনি লালসবুজ কিশোররা। দুর্বল ভুটানকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু বাংলাদেশের। যা তাদের পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের বাড়তি প্রেরণার উৎস। রাকিবুলদের পরের ম্যাচ ২৫ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অন্য দিকে ভুটানের এটি দ্বিতীয় হার। প্রথম ম্যাচে তাদের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় পায় শ্রীলঙ্কা। ওই দিন প্রথম ম্যাচে নেপাল ০-৫ গোলে হেরেছিল স্বাগতিক ভারতের কাছে। ২৭ তারিখে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল।
১৫ মিনিটে ডান দিক থেকে আসা লম্বা থ্রোতে মাথা লাগিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন আল মিরাদ। অবশ্য গোলরক্ষক সাব্বির গাজীর ভুলে ১৭ মিনিটেই সমতা ভুটানের। বাম দিক থেকে আসা ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে পোস্ট ছেড়ে এসে ব্যর্থ বাংলাদেশের শেষ প্রহরী। ফলে তাতে ভুটানের পূব দর্জির হেড চলে যায় জালে। ২১ মিনিটে মুন্না আহমেদের ফ্রিকিক থেকে বক্সে সৃষ্ট জটলায় পা লাগিয়ে ফের ২০১৮ এবং ২০১৫ এর শিরোপা জয়ীদের লিড এনে দেন আল আমিন রহমান। ৩২ মিনিটে পুনরায় ভুল করেন গোলরক্ষক সাব্বির। আবার সমতা ভুটানিদের। তার নেয়া গোল কিক গিয়ে পড়ে বক্সের বাইরে থাকা প্রতিপক্ষের সোনাম চোজাংয়ের পায়ে। সোনাম সেই বল ধরে কিছুটা এগিয়ে ডান পায়ের শটে পারস্ত করেন কিপারকে।
অবশ্য প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বাম দিক থেকে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে বল জালে পাঠান বদলি ফুটবলার শুভ সরকার। ৩-২ প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই বাংলাদেশের দখলে। একচেটিয়া খেলে জয় নিশ্চিত এই সময়েই। ৮৩ মিনিটে আল মিরাদ তার দ্বিতীয় গোল করে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে স্বস্তি এনে দেন। মিরাদ নিজেই চার ফুটবলারকে কাটিয়ে পাস দেন সতীর্থকে। ওই ফুটবলারের বাড়ানো পাসে ছোট বক্সের ভেতর থেকে আনুষ্ঠানিকতা সারেন মিরাদ। ইনজুরি টাইমে (৯৪ মি.) দূর্দান্ত এক ফ্রিকিকে লালসবুজদের পক্ষে পঞ্চম গোল করেন বদলি মিডফিল্ডার ইমন ইসলাম বাবু।
জিতলেও বাংলাদেশের গোলরক্ষকের পারফরম্যান্স আশঙ্কারই জন্ম দিচ্ছে আগামী ম্যাাচগুলোতে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের শিরোপা হাতছাড়া হয় গোলরক্ষকের দোষে। সেমিতে তার ভুলেই দুই গোল হজম এবং নেপালের কাছে ২-৪ গোলে হার। অবশ্য গত বছর গোলরক্ষক মেহেদী হাসানের সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে টাইব্রেকার ঠেকানোর কৃতিত্বেই ট্রফি পুনরুদ্ধার। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে পোস্টের নিচের প্রহরী ভোগবে। কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ বাবুও স্বীকার করলেন, গোলরক্ষকের ভুলে আমরা গোল হজম করেছি। এরপরও কোচ খুশি প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পাঁচ গোলের বড় জয় নিয়ে প্রথম ম্যাচ শেষ করায়। জানান, এটা বড় ব্যাপার প্রথম ম্যাচে বিশাল জয়ে শুরু করা। প্রথম ম্যাচ, সব কিছুর সাথে মানিয়ে নেয়াও একটা ব্যাপার। ছেলেরা সব কিছুই ইতিবাচক ভাবে শেষ করেছে। উল্লেখ করেন, বেশ কিছু মিসের পরও আমরা পাঁচ গোল দিতে পেরেছি। কাল অন্য ম্যাচে নেপাল ২-০ তে হারায় শ্রীলঙ্কাকে।
বাংলাদেশ দল : সাব্বির, মুন্না, রাকিবুল, অনন্ত, রাজীব, নাঈম (ইমন বাবু ৫৮ মি.), মিরাদ, আল আমিন, রাজু, অপূর্ব ( জনি ৭২ মি.), নিঝুম (শুভ)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা