২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গ্রেট অধিনায়কের অপেক্ষায় মরগান

-

এ নিয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। সর্বশেষ তারা ১৯৯২ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল। সেবার তাদের প্রথম শিরোপার সাক্ষাৎ হয়নি পাকিস্তানের কাছে হেরে। তবে এবার ইংলিশদের জোর সম্ভাবনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আর যদি তারা এবার ট্রফি জিততে পারে তাহলে অধিনায়ক ইয়ন মরগান চলে গ্রেট অধিনায়কের কাতারে। এমন মন্তব্য মরাগনের সাবেক সতীর্থ ম্যাট প্রিয়রের।
ইংল্যান্ডের একটি বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড আছে। তা নয় বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-২০ আসরে। পল কলিংউটের নেতৃত্বে সেবার ওই সাফল্য। ওই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য মরগান। বর্তমান ইংল্যান্ড দলে তিনিই সে আসরে খেলা এক মাত্র ক্রিকেটার। ম্যাট প্রিয়র মনে করেন, এখন মরগানের পালা দেশকে ফের বিশ্বসেরার আসনে নিয়ে যাওয়া।
এবারের আসরে চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় ইংল্যান্ডের। একটি মাত্র হার পাকিস্তানের কাছে । চলমান ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বৃষ্টি হানা দিয়ে চারটি ম্যাচকে পরিত্যক্ত করে দিলেও এখন পর্যন্ত স্বাগতিকদের কোনো খেলা এই কারণে বাতিল হয়নি। তাদের তিনটি জয় দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং গত পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এই জয়ই দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও প্রথম বারের মতো বিশ্বসেরা হতে তাদের সেমিতে পৌঁছাতে হবে। এরপর নক আউট পর্বে জয় পেতে হবে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে।
টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ড সেরা দলের মর্যাদা পায় চার বছর আগে। প্রিয়রের বিশ্বাস, ‘এবার মরগান পারবেন ওয়ানডেও দেশকে সবার উপরে স্থান দিতে।’ আলিস্টার কুকের পর নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বল্পসময়ের নোটিশে ইংলিশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব পান মরগান। তখন তার হাতে সময় ছিল না দলকে ঢেলে সাজানোর। প্রিয়রের মতে, মরগানের সেই মেধা এবং যোগ্যতা আছে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করানো। যা প্রায় এক দশক আগে টি-২০ ক্রিকেটে হয়েছিল ইংল্যান্ড দলের ক্ষেত্রে।
প্রিয়র জানান, মরগান অন্যতম একজন সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি দলকে এই যে নতুন রূপে আর্বিভূত করেছেন, পাল্টে দিয়েছেন সবার ধারণা, পরিবর্তন এনেছেন ক্রিকেটারদের মানসিকতায় তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যে কারণে সাদা বলের ক্রিকেটে আজ হট ফেবারিটের তালিকায় ইংল্যান্ড। যখন আমি তার সাথে খেলেছি তখনই দেখেছি তার বুদ্ধির পরিচয়। যোগ করেন, মরগান দলটির ক্রিকেটারদের মানসিকতাকে শক্ত করেছেন। তা ড্রেসিং রুমে এবং মাঠে। এ কারণেই ইংল্যান্ড এবার শিরোপার দাবিদার।
নিজ মাঠে তাদের পরিচিত পরিবেশ। গ্যালারি ভর্তি নিজস্ব দর্শক। সব কিছুই তাদের অনুকূলে। এবার সত্যিই যদি তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে ওয়ানডে বিশ্বকাপে যা তারা আগে কখনও অর্জন করতে পারেনি তাহলে তা মরগানকে নিয়ে যাবে গ্রেট ইংলিশ ক্রিকেটারের কাতারে। তা স্রেফই তার নেতৃত্বের জন্য। সূত্র মিরর।

 


আরো সংবাদ



premium cement