২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁচাও হকি পরিষদ

-

এর আগে হকির জন্য কাজ করলেও নির্বাচনের আগে কাজ করার অর্থ কাউন্সিলদের মন যুগিয়ে ভোট আদায় করে নেয়া। নির্বাচিত হতে পারলে আগামী চার বছর হকির উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে বাঁচাও হকি পরিষদ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও সংগঠকদের সাথে মতবিনিময় করতে ঢাকার বাইরে বেরিয়েছেন বাঁচাও হকি প্যানেলের প্রার্থীরা। অর্থাৎ রশিদ-সাঈদ পরিষদের প্রার্থীরা সংগঠকদের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন, উপদেশ নিচ্ছেন এবং কাজ করার প্রক্রিয়ায় সাহায্য কামনা করছেন।
বাঁচাও হকি পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী কামরুল ইসলাম কিসমত ও কোষাধ্যক্ষ হাজী মো: হুমায়ূন জানান, ‘জেলা শহরগুলো বরাবরই লজিস্টিক সাপোর্ট থেকে বঞ্চিত। খেলার জন্য যে হকিস্টিক বল দরকার তা খেলোয়াড়দের তুলনায় অপ্রতুল। অনেক খুদে খেলোয়াড়ের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও তারা স্টিকের অভাবে ঠিকমতো প্রাকটিস করতে পারছে না। সে চিন্তা থেকেই বাঁচাও হকি পরিষদ সংগঠক কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময়কালে সহায়ক হিসেবে স্টিক ও বল দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। ছোট্ট এ উপহার দিয়ে বুঝাতে চেয়েছি আমরা তোমাদের পাশে আছি। নির্বাচিত হলে তোমাদের লজিস্টিক সাপোর্টের কোনো অভাব হবে না।’
তবে এই উপহার দেয়াকে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল বলে অভিযোগ করেছেন সাজেদ-সাদেক পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী সাজেদ এ এ আদেল। তার কথায়, নির্বাচনী প্রচারণায় যেতেই পারেন প্রার্থীরা। তাই বলে উপঢৌকন দেয়ার অর্থ ভিন্ন। কাউন্সিলরদের বায়েস্ট করছে ওই প্যানেলের প্রার্থীরা। যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ ব্যাপারে নালিশ করব।
হকি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন কর্মকর্তা এস এম কবিরুল হাসান আচরণ বিধি লঙ্ঘন বিষয়ে বলেন, ‘আচরণ বিধিতে উপহার দেয়ার বিষয়টি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। হকি সামগ্রী তো যে কেউ দিতেই পারেন। তবে নির্বাচনের আগে সেগুলো দেয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ নেই। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি আমাদের কাছে লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেন তাহলে সেটি আমরা গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনায় নেব এবং কাউসিলিং করে একটা বিহিত ব্যবস্থা করব।’

 


আরো সংবাদ



premium cement