২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এনামুলের সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক প্রথম পরাজয় আবাহনীর

টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করে মোহাম্মদ আশরাফুলকে ছুঁয়ে ফেললেন এনামুল হক বিজয় : নয়া দিগন্ত -

আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে জয় উপহার দিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গতকাল আবাহনী ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করলেন তিনি। টানা তৃতীয় বারের মতো সেঞ্চুরি করে হ্যাটট্রিক পূরণ করার পাশাপাশি প্রাইম ব্যাংকের এ ওপেনার আবাহনীকে ১৬ রানে হারিয়ে দিলেন প্রথম পরাজয়ের স্বাদ।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রাইম ব্যাংককে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আবাহনী। প্রাইম ব্যাংক আগে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের ১০২, আভিমন্যুর ৮৫ ও আরিফুল হকের অপরাজিত ৫১ রানে ভর করে ৩০২ রানের বড় সংগ্রহ পায়। জবাবে ওয়াসিম জাফরের ৯৪, নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৩ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৫২ রানে ভর করে লড়াই করলেও জয় পায়নি আবাহনী। ৪৮.৫ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয় আকাশি নীল জার্সিধারীরা।
রূপগঞ্জের বিপক্ষে বিজয় অপরাজিত থাকেন ঠিক ১০০ রান করে। শেখ জামালের বিপক্ষে তিনি থামেন ১০১ রান করে। নিজের ‘হ্যাটট্রিক’ সেঞ্চুরির দিন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিপক্ষে বিজয়ের করেন ১০২ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের এটা তার ১২তম শতক।
গত ম্যাচের মতো ভারতীয় ব্যাটসম্যান অভিমন্যুর সাথে দারুণ জুটি গড়েন বিজয়। সেঞ্চুরির দৌড়ে ছিলেন এই বিদেশী। কিন্তু সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮৫ রানে আউট হন অভিমন্যু। তিনি ফিরলেও নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি বিজয়। ব্যক্তিগত ৯৪ রানের সময় সানজামুল ইসলামকে বিশাল এক ছক্কার মারেই চলতি আসরে সেঞ্চুরির ‘হ্যাটট্রিক’ পূরণ করেন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক। ১২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে শতরান করেন বিজয়। শেষ পর্যন্ত ১২৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ১০২ রানে নাজমুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
৩০৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১ রানের মাথায় জহুরুল ইসলামকে (০) হারায় আবাহনী। ৬৩ রানের মাথায় জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সৌম্য সরকারকে (৩৬) ফেরান নাহিদুল ইসলাম। তৃতীয় উইকেটে ১৩২ রানের একটি জুটি গড়ে আবাহনী। জুটিটি গড়েন ওয়াসিম জাফর ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৯৩ রানের মাথায় সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফেরেন জাফর। আল-আমিনের বলে মনির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৯১ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৯৪ রান করেন এই ভারতীয়।
আল-আমিন নিজের দ্বিতীয় শিকার হন মিথুন (২)। ২১৯ রানের মাথায় সেট ব্যাটসম্যান শান্ত তৃতীয় শিকারে পরিণত হন আল আমিনের। ৮২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রান করেন শান্ত। অধিনায়ক মোসাদ্দেক একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করলেও জয় পায়নি আবাহনী। ২৮৬ রানের মাথায় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মোসাদ্দেক। ৪৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি। আল-আমিন, আব্দুর রাজ্জাক ও নিহাদুল ইসলাম ৩টি করে উইকেট নেন। বাকিটি মোহর শেখের।
পাঁচ রাউন্ড শেষে ৪ জয় ও ১ পরাজয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে আবাহনী। সমান জয়, সমান হার ও সমান পয়েন্ট নিয়ে প্রাইম ব্যাংক রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। আর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ রয়েছে তৃতীয় স্থানে।


আরো সংবাদ



premium cement