২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত জয় উপহার দিলেন রয়-রুট

-

বিধ্বংসী ওপেনার ক্রিস গেইলের সেঞ্চুরি ম্লান করে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত এক জয়ের স্বাদ এনে দিলেন ওপেনার জেসন ও অধিনায়ক জো রুট। বুধবার রাতে ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৬১ রান তাড়া করে ৮ বল বাকি রেখে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংলিশরা। ম্যাচে গেইল ১৩৫, রয় ১২৩ ও রুট ১০২ রান করেন।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে জন ক্যাম্পবেলের সাথে ইনিংস শুরু করেন গেইল। শুরুতে রান তোলার কাজটা করেছেন ক্যাম্পবেল। উদ্বোধনী জুটিতে আসা ৩৮ রানের মধ্যে ৩০ রানই ছিলো তার। ২৮ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ক্যাম্পবেল। এ সময় ২৩ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন গেইল।
এরপর শাই হোপকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন গেইল। এই জুটিতে দ্রুত রান তুলেছেন দু’জনেই। ১২৭ বলে ১৩১ রান যোগ করেন তারা। ৬৫ বলে ৬৪ রান করে হোপ ফিরে গেলেও, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেন গেইল। টেস্ট প্লেয়িং কোনো দলের বিপক্ষে চার বছর পর সেঞ্চুরি করলেন গেইল। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ক্যানবেরাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৭ বলে ১০টি চার ও ১৬টি ছক্কায় ২১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গেইল।
এ ম্যাচে সেঞ্চুরির পরও ইনিংস বড় করছিলেন গেইল। শেষ পর্যন্ত ১২৯ বলে ১৩৫ রানে থামেন তিনি। তার ইনিংসে মাত্র ৩টি চার ও ১২টি ছক্কা ছিলো। দলকে ৩০০ রানের উপরে রেখে প্যাভিলিয়নে ফেরেন গেইল। তবে শেষদিকে ড্যারেন ব্রাভো ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩০ বলে ৪০ ও অ্যাশলে নার্স ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন। তাই ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৬০ রানের বড় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ক্যারিবীয়দের। এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছে ক্যারিবীয়দের ব্যাটসম্যানরা। এর আগের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের। ২০১৪ সালে কুইন্সল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২২টি ছক্কা মেরেছিলো কিউইরা। বল হাতে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ ৩টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। ১০ দশমিক ৫ ওভারে ৯১ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারেস্টো। ৩৩ বলে ৩৪ রান করে বেয়ারেস্টো থামলে ক্রিজে রয়ের সঙ্গী হন রুট। দু’জনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন। তাই জুটিতে ১১৪ রান আসে ৯৭ বলে। এরমধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পান রয়। তিন অংকে পা দিয়ে ১২৩ রানে বিদায় নেন তিনি। তার ৮৫ বলের ইনিংসে ১৫টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল।
দলীয় ২০৫ রানে রয় থামলেও যেন দলের জয় নিশ্চিত করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন রুট। অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সাথে দারুণ এক শতরানের জুটি গড়েন। ৯৪ বল মোকাবেলা করে ১১৬ রান যোগ করেন তারা। দলীয় ৩২১ রানে মরগান ও ম্যাচ সমতায় রেখে আউট হন রুট।
মরগান ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫১ বলে ৬৫ ও রুট ৯টি চারে ৯৭ বলে ১০২ রান করেন। ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরির স্বাদ নেয় রুট থামেন দলীয় ৩৬০ রানে। এরপর বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন উইকেটরক্ষক জশ বাটলার। ফলে বড় রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ে নিজেদের ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। এর আগেরটি ২০১৫ সালে নটিংহামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫০ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল ইংলিশরা।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের জেসন রয়। একই ভেনুতে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।

 


আরো সংবাদ



premium cement