২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোলে পিছিয়েও রহমতগঞ্জের ড্র

রহমতগঞ্জ (জুনাপিও, চৌম্রিন) ২ : ২ ( ফামোসা ২)মুক্তিযোদ্ধা
-

ম্যাচ শেষে আফসোসে পুড়ছিল রহমতগঞ্জের কোচ, কর্মকর্তা, খেলোয়াড় সবাই। প্রথম জয়ের কি দারুণ সুযোগই না হাতছাড়া হলো তাদের। সাথে অবশ্য সন্তুষ্টিও ছিল। অন্য দিকে মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে তখন কোনোমতে বেঁচে যাওয়ার স্বস্তি। সাথে কিছুটা ক্ষোভও ছিল। গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২০ মিনিট বয়সেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে রহমতগঞ্জ। এই ধরনের পরিস্থিতিতে আরো নেতিয়ে পড়ার কথা একটি দলের। অথচ সেই অবস্থা থেকে তারা ২-২ গোলে ড্র করেছে মুক্তিযোদ্ধার সাথে। কষ্টটা এত চান্স মিস করেও তাদের জিততে না পরাটা। আর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের যত ক্ষোভ জাপানি ইউসুকো কাতোর ওপর। ২৪ মিনিটে তিনি মেজাজ হারিয়ে লালকার্ড না পেলে এভাবে জয়বঞ্চিত হতে হতো না তাদের। কাল এই ম্যাচে কোনো দল জিততে না পারায় ৬ খেলা শেষে মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট ৭। আর ৭ খেলায় রহমতগঞ্জের অর্জন ৪। এটি তাদের চতুর্থ ড্র।
দুই দলই আগের ম্যাচে হেরেছিল বসুন্ধরা কিংসের কাছে। রহমতগঞ্জ ০-১ এ এবং মুক্তিাযোদ্ধা ১-৩ এ। কাল ২০ মিনিটেই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় আবদুল কাইয়ুম সেন্টুর দল। আইভোরিকোস্টের স্ট্রাইকার বাল্লো ফামোসার জোড়া গোলে তাদের এই সুবিধাজনক অবস্থান। কিন্তু এর পরও তারা তৃতীয় জয়ের দেখা পায়নি। তা জাপানি মিডফিল্ডার কাতোর লাল কার্ডের জন্য। ২৪ মিনিটে তিনি প্রতিপক্ষের রাকিবকে লাথি মারেন। রেফারি সুজিত ব্যানার্জি চন্দন সহকারী রেফারি হারুনুর রশীদের সাথে কথা বলে কাতোকে লাল কার্ড দেখিয়ে বহিষ্কার করেন। মুক্তিযোদ্ধার কোচ সেন্টুর মতে, এই লালকার্ডই আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। পার্থক্য গড়ে দিয়েছে এই কার্ডই। তা না হলে আমরাই জিততাম। এরপরেই তিনি উল্লেখ করেন, তবুও সন্তুষ্টি ড্র করতে পারায়। যে অবস্থার মুখোমুখি হয়েছিলাম তাতে হেরে যাওয়ারই কথা।
৯ মিনিটে পেনাল্টি মিস দিয়েই শুরু মুক্তিযোদ্ধার। কাতোকে বক্সে হাত দিয়ে টেনে ফেলে দেন রহমতগঞ্জের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার মানডে। এ থেকে সৃষ্ট পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ ফামোসা। তার শট গোলরক্ষক আরিফের হাতে লেগে ক্রসবারে প্রতিহত হয়। অবশ্য এর পরেই সে ব্যর্থতা মুছে দেন দুই গোল করে। ১৪ মিনিটে রাকিবের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে। ২০ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোল মিডফিল্ড থেকে আসা লব থেকে বল পেয়ে। লিগে এটি ফামোসার সপ্তম গোল। সর্বোচ্চ গোলদাতা তালিকায় তিনিই। পরেই গত লিগে ১১তম স্থান পাওয়া দলটির ১০ জনে পরিণত হওয়া। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে রহমতগঞ্জ এই সুবিধা নিতে না পারলেও বিরতির পরপরই ঘুরে দাঁড়ানো। রহমতগঞ্জের সেনাবাহিনীর ফুটবলার সোহেল রানাই এর নেপথ্য। ৫০ মিনিটে তার ভলি কর্নার করেন মুক্তির গোলরক্ষক আরিফুজ্জামান হিমেল। সেই কর্নার থেকে তার ভলিতে কঙ্গোর সিও জুনাপিও মাথা লাগিয়ে ব্যবধান কমান। সোহেল রানা গোলটি তার দাবি করলেও রেফারি গোল দিয়েছেন জুনাপিওকে। ৫৬ মিনিটে সোহেল রানার শট সাইড পোস্ট লাগার পর ফিরতি বলে হেডে সমতা আনেন চৌম্রিন রাখাইন। ৬০ মিনিটে সোহেল রানার হেড লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় লিড নিতে পারেনি পুরান ঢাকার দলটি।
ততক্ষণে মুক্তিযোদ্ধাকে চেপে ধরে সৈয়দ গোলাম জিলানীর দল। সেন্টু বাহিনীর রক্ষণভাগ তখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা। তবে তৃতীয় গোল আর পায়নি রহমতগঞ্জ। সোহেল রানা ও জুনাপিওরা মিসের খাতায় নাম লেখান। একই পথে হাঁটেন চৌম্রিনও। শেষ দশ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা জয়ের চেষ্টা করলেও গোলরক্ষক আরিফের বাধায় তা হয়নি। ৭৯ মিনিটে সুজন বিশ্বাসের বাঁ পায়ের তীব্র শট ডান দিকে শরীর ভাসিয়ে কর্নার করেন আরিফ।
রহমতগঞ্জের কোচ জিলানী বলেন, জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছি ফরোয়ার্ডদের তাড়াহুড়াজনিত গোল মিসের জন্য। এরপরও খুশি ২ গোলে পিছিয়েও ড্র করতে পেরে।


আরো সংবাদ



premium cement
চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’

সকল