২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতের হয়ে খেলতে না পারার কষ্ট আমেরিকার রুহির

-

বাবা, মা’সহ ভারতেই বসবাস করছেন রুহি রাজু। কিন্তু জন্মসূত্রে আমেরিকান হওয়ায় ঢাকায় খেলতে এসেছেন ওই দেশের হয়ে। ভারত দ্বৈত নাগরিকত্ব মানে না বলেই ভারতে বাস করেও তাকে খেলতে হচ্ছে আমেরিকার হয়ে। এটাকেই বড় কষ্ট মানছেন রুহি। ‘এত বছর ধরে ভারতে থাকছি। কিন্তু জন্মটা কেবল আমেরিকাতে হওয়ায় আমাকে খেলতে হচ্ছে ওই দেশের হয়ে। বুকের মাঝে কষ্ট নিয়েই নামতে হচ্ছে কোর্টে।’
প্রদীপ রাজু জন্মসূত্রে ভারতীয়। কিন্তু তিনি বিয়ে করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকা প্রবাসী দম্পতির কন্যাকে। ফলে রুহি জন্মের সময় তার স্ত্রীকে চলে যেতে হয় আমেরিকায়। আর সেখানেই জন্ম নেয়ার সুবাদে রুহি রাজু ওখানের নাগরিক। প্রদীপ জানালেন, ‘ভারতে বসবাসের সূত্রে সুচিত্রা ব্যাডমিন্টন একাডেমিতেই অনুশীলন করে রুহি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে মহিলা এককে রুপা জেতা ভারতী পিভি সিন্ধু এই একাডেমির ট্রেইনার। ইন্দোনেশিয়ার জনাথন দাসুকি এই একাডেমির প্রধান কোচ। তার চেয়ে বড় কথা ব্যাডমিন্টন পরিবারেই যে জন্ম রুহির। আমি ১৯৯১-’৯২ সালে ভারতীয় জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলে খেলেছি। সেই সূত্র ধরেই মেয়েরও ইচ্ছা শাটলার হবে।’
রুহি জানান, ২০১৫-২০১৬ সালে ঘরোয়া আসরে ভারতীয় শীর্ষ পাঁচে উঠেছিলাম। দ্বৈত নাগরিকত্বে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে দেয় না ভারত। তাই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হয় আমেরিকার হয়ে। ২০১৮ সালে আর্জেন্টিনায় সিনিয়র টুর্নামেন্টে রূপা ও অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ার্ল্ড চাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছি। এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্ব জুনিয়র র্যাংকিংয়ে ৪২তম স্থানে অবস্থানে রয়েছি। ঢাকায় আসার আগে ভারতে তিন মাস অনুশীলন করেছি। প্রতিপক্ষ এলিনা খুবই ভালো মানের শাটলার। ও একটু চোট পাওয়া আমার জন্য প্লাসপয়েন্ট হয়েছে। সেটিকেই কাজে লাগিয়েছি। এখন ফোকাস পরের রাউন্ডে। এখানে সবাই হেল্পফুল। এটা ভালো লেগেছে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement