২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দ্বৈত প্রতিভায় এগিয়ে সৌম্য

-

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তামিম ইকবাল না থাকায় তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করেছিলেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। দারুণ খেলেছিলেন ইমরুল, খুব ভালো না করলেও দলের জন্য সহায়ক ভূমিকাই পালন করেছিলেন লিটন। তাদের এবং দলীয় সমন্বয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচই জিতেছিল টাইগাররা। তবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়েই অনবদ্য সেঞ্চুরি করে বসেন আরেক বাঁহাতি টপঅর্ডার সৌম্য সরকার। এর সাথে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন তামিম ইকবালও। যে কারণে ফর্মে থাকা চার ওপেনারকে নিয়ে বিপাকেই পড়তে হয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্টকে।
কাকে রেখে কাকে খেলাবে ভাবতে ভাবতেই গত রোববার সিরিজের প্রথম ওয়ানডে একাদশে নেয়া হয়েছিল চার ওপেনারকেই। ম্যাচের কথা চিন্তা করে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণে সূচনায় নামানো হয় তামিম-লিটনকে। তিনে পাঠানো হয় ইমরুলকে। হিসেব অনুযায়ী চতুর্থ উইকেটে সৌম্যকে নামানোর কথা থাকলেও দেখা গেল ছয় নম্বরে নামানো হয়েছে ২৫ বছর বয়সী সৌম্যকে।
সব কিছুর যথাযথ ব্যাখ্যা দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তার মতে তামিম-ইমরুলের সাথে লিটন থাকার পরেও সৌম্যকে দলে নেয়া যায় কারণ সাতক্ষীরার এ বাঁহাতি ড্যাশিং খেলতে পারেন যেকোনো পজিশনে। এ ছাড়া শীতকাল বলে শিশিরের পরিমাণ বেড়ে গেলে যদি স্পিনারদের বোলিং করতে সমস্যা হয় তাহলে সৌম্যের ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিংও কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ‘সৌম্যর আসলে ছয়ে-সাতে ব্যাট করার অভ্যাস আছে। ইমরুল সে দিক দিয়ে লোয়ার অর্ডারে কমই ব্যাট করেছে। সৌম্য এশিয়া কাপ ফাইনালে সাতে খেলেছে। ওর হাতে শটস খেলার সামর্থ্য আছে। পেস বলও সামলাতে পারে। লাস্ট তিন ম্যাচেই সেঞ্চুরি (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ও প্রস্তুতি ম্যাচে দু’টি) করেছে। যদিও দু’টিা আন অফিশিয়াল। মিঠুনও ভালো ফর্মে আছে। বাট ডিউ ফ্যাক্টরসহ সব কিছু চিন্তা করলে সৌম্যই এগিয়ে। সৌম্য তো আসলে স্পিন থেকে পেস বেশি খেলতে পছন্দ করে। সৌম্য যে জায়গায় খেলছে, বিশ্বকাপে এই পজিশনে কিন্তু পেস বোলাররাই বোলিং করবে। এখানে কোনোভাবেই মিঠুনকে ছোট করার সুযোগ নেই। ও এশিয়া কাপে সুন্দর খেলেছে, জিম্বাবুয়ের সাথেও। আমাদের একটা কম্বিনেশন দাঁড় করাতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement