২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আগের বাংলাদেশ!

বাংলাদেশ ০-৭ মালয়েশিয়া
-

ভারতে ৬, কেরিয়ায় ৫টি প্র্যাকটিস ম্যাচ বোধ হয় বৃথাই গেল! দুর্বল কাজাখস্তানকে ৬-১ গোলে ও তার আগে চিরপ্রতিপ্রক্ষ ওমানকে ২-১ গোলে হারিয়ে এশিয়াড হকিতে কিছুটা আস্থার জায়গা তৈরি করেছিল টিম বাংলাদেশ। তা যে ছিল ক্ষণস্থায়ী, সেটিই বুঝিয়ে দিলো শক্তিশালী মালয়েশিয়া। গতকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ৭-০ গোলের বড় ব্যাবধানে হারল ওয়ার্ল্ড কাপে খেলা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। এত কিছুর পর এমন বড় হারে বাংলাদেশ দলে কিছুটা বিস্মিত হতেও দেখা গেছে। এমন রেজাল্ট ছিল না মোটেও প্রত্যাশিত। হারলেও লড়াইটা হবে জমজমাট এমনটাই ছিল ধারণা। কিন্তু বাস্তবে সব চিত্রই গেল বদলে। বড় হার। লজ্জার হার।
মালয়েশিয়ার সাথে লাল সবুজদের সর্বশেষ সাক্ষাৎ ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ওয়ার্ল্ড কাপ রাউন্ড টুয়ে। সেবার ৩-০ গোলে হেরেছিল স্বাগতিকেরা। অথচ এবার ৭-০। একটু বেশি গোল হয়ে গেছে এটা মানতেই যে হচ্ছে।
বাংলাদেশ হকিতে আগের জায়গায়ই রয়েছে সেটি মানতে নারাজ লাল সবুজদের মালয়েশিয়ান কোচ গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তি। বড় হারের পরও তিনি বললেন, ‘ছেলেরা চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। স্পিড, স্কিল ও স্ট্যামিনায় পিছিয়ে থাকলেও তারা ভীত ছিল না। গোল হজম করার পরও তারা আক্রমণে গেছে। পুরোপুরি ডিফেন্সিভ কখনোই ছিল না। আগে তো তারা আক্রমণের চিন্তাই করতে পারত না। ১১টি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে টিম বাংলাদেশ সেই ভীতি কাটাতে পেরেছে। আরো ইমপ্রুভমেন্ট দরকার।’ তিনি বলেন, ‘উন্নতিটা হঠাৎ হয়ে যাবে না। ধীরে ধীরেই এগোবে। কমপক্ষে পাঁচ বছরের টার্গেট হাতে নিতে হবে। শুরু করতে হবে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নতুনদের দিয়ে। তবেই পথটা মসৃণ হবে।’
বাংলাদেশের তো আর শীর্ষে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তাই আগামী ম্যাচে থাইল্যান্ডকেই টার্গেট করেছে ফরহাদ হোসেন শিটুল বাহিনী। তাদের বিপক্ষে জয় পেলেই কমসে কম ৫ম-৬ষ্ঠ স্থানের জন্য লড়বে বাংলাদেশ। বর্তমানে ওই টার্গেটেই হাঁটছে বাংলাদেশ। ৫-৬ স্থান পেলেই বিশাল পাওয়া হবে জিমি-চয়নদের। চারটি এশিয়ান গেমস খেলা চয়নও একটা তৃপ্তির ঢেঁকুর দিয়ে তুলে রাখতে পারবেন জাতীয় দলের জার্সি।
গতকাল মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মাত্র চারটি আক্রমণই করতে পেরেছে গোবিনাথানের শিষ্যরা। সারাক্ষণ ব্যস্ত ছিল নিজেদের রক্ষণভাগ সামলাতে। কয়েকবার দেখা গেল কোচকে উত্তেজিত হতে। একপর্যায়ে হাতের কলমও ছুড়ে ফেললেন সজোরে।
কিন্তু কোচের অমন রাগান্বিত হওয়ার কারণ জানাও গেছে। কারণ তিনি যেভাবে শিখিয়েছেন, খেলোয়াড়রা মাঠে সেটা পারেননি। তার আঁকা ছক ধরে খেললে এতটা এলোমেলো হওয়ার কথা না। কিন্তু সেটা না হওয়ায় চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রথম কোয়ার্টারে নিজেদের কিছুটা ধরে রাখতে পারলেও দ্বিতীয় কোয়ার্টারে হজম করতে হয়েছে ৩ গোল, তৃতীয় কোয়ার্টারে আরো ৩টি এবং শেষ কোয়ার্টারে ১ গোল। সাত গোলের দুটি পিসি, চারটি ফিল্ড গোল এবং একটি স্ট্রোক থেকে। গোলরক্ষক নিপ্পন দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত না করলে আরো তিনটি গোল হতে পারত।

 


আরো সংবাদ



premium cement