২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুটবলাররা ফিট এটিই প্রাপ্তি

-

কাতারে দুই সপ্তাহের ট্রেনিং। এই পর্ব শেষে গতকাল দুপুরে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আগস্টের জাকার্তা এশিয়ান গেমস ও সেপ্টেম্বরের সাফ ফুটবলের প্রস্তুতিতেই এ সফর। এ প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ৩০ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। কোরিয়া থেকে দল সরাসরি গন্তব্য হবে ইন্দোনেশিয়া। এ দেশের রাজধানী জাকার্তায় হবে এশিয়ান গেমস। কাতার সফরে মূলত খেলোয়াড়দের ফিটনেসের ওপরই জোর দেয়া হয়েছে। সাথে ছিল টেকনিক ও ট্যাকটিসের পর্বও। তবে এ সফরে ফুটবলাররা পুরোপুরি ফিট হয়েছে এটিকে বড় অর্জন বলছেন বাংলাদেশ দলের কোচ মাহাবুব হোসেন রক্সি। ফিটনেস কোচও সেখানে যোগ দেন দলের সাথে; যা আরো উপকার করেছে ফুটবলারদের।
২৮ ফুটবলারকে নিয়ে কাতার যান হেড কোচ জেমি ডে। সেখানে চার দিন পরই ইনজুরিতে পড়েন মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। ফলে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এর আগেই অসুস্থতা ও ইনজুরির জন্য কাতার যাওয়া হয়নি নাবিব নেওয়াজ জীবন, তৌহিদুল আলম সবুজ, জুয়েল রানা ও রুবেল মিয়াদের। তারা এখন হেমন্তের সাথে ২৪ জুলাই থেকে বিকেএসপির ক্যাম্পে যোগ দেবেন। এই ২৮ জনের মধ্যে আটজন আছেন সিনিয়র ফুটবলার। এখান থেকে তিনজন সিনিয়র কোটায় খেলবেন এশিয়ান গেমসে। উল্লেখ্য অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের নিয়েই হয় এশিয়ান গেমস ফুটবল।
কাতারে বাংলাদেশ দল একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছে প্রথম বিভাগের দল মিসাইমের ফুটবল ক্লাবের সাথে। খেলায় বাংলাদেশ প্রথমে পিছিয়ে পড়েও পরে স্ট্রাইকার সাখাওয়াত রনির গোলে সমতা আনে। কোচ রক্সির মতে, খেলায় বিপলু, মতিন মিয়া, ইমন বাবু, সুফিল,জনি এবং রনিরা গোল মিস না করলে ৩-৪ গোলে জিততে পারত বাংলাদেশ। ম্যাচে বেশ ভালো খেলেছে তারা। এই খেলায় লাল-সবুজদের দুই অর্ধে দুই একাদশ খেলান কোচ। কোরিয়া সফরেও বাংলাদেশ দল আরো দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে। রক্সির বক্তব্য, আশা করি কোরিয়ার দল দু’টি আরো ভালো হবে। এমন শক্তিশালী দলই চাই আমরা।
রক্সির মতে, ফুটবলাররা কোচের দেয়া ফরমেশন কতটুকু রপ্ত করতে পারল, টিম স্পিরিট কতটুকু আছে এসবেরই পরীক্ষা হবে কোরিয়া সফরে। যার আসল প্রয়োগ জাকার্তার মাঠে। এখন বাংলাদেশে থাকা অবস্থা স্থানীয় দুই ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব বা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সাথে ম্যাচ খেলার কথা জাতীয় দলের।
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ‘ডি’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান ও কাতারকে। এরপর সাফ ফুটবল। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এ আসরে ২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়নদের ফাইনালে খেলার টার্গেট। তাই জাতীয় দলের ক্যাম্পে সিনিয়র ও জুনিয়র সব ফুটবলারকেই রাখা হয়েছে। ২০১৪ সালের ইনচন এশিয়াডে বাংলাদেশ হারিয়ে ছিল আফগানিস্তানকে; যা তাদের পরের রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয়। কিন্তু শেষ ম্যাচে হংকংয়ের কাছে হেরে প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে পড়তে হয় ক্রুয়েফের দলকে। আর ২০১৫-১৬ সালের কেরালা সাফ ফুটবলে মারুফুল হকের দলও গ্রুপ পর্বে বিদায়টা অব্যাহত রেখেছিল, যা ২০১১ থেকে একটানা করে আসছেন এ দেশের ফুটবলাররা। অবশ্য কোরালায় শেষ খেলায় ভুটানের বিপক্ষে জয়টা ছিল বাংলাদেশের পাঁচ বছর পর সাফে কোনো ম্যাচে জয়।


আরো সংবাদ



premium cement