০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সেই নীলগাইটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে

সেই নীলগাইটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে - সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিলুপ্ত নীলগাইয়ের বংশ বৃদ্ধির সব স্বপন ভঙ্গ হয়ে গেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে বংশবৃদ্ধির জন্য রাখা দুটি নীলগাইয়ের মধ্যে নারী নীলগাইটি মারা গেছে।

২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা থেকে এই নীলগাইটি উদ্ধার করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি নওগাঁর মান্দা উপজেলা থেকে একটি পুরুষ নীলগাই উদ্ধার হয়। বাংলাদেশে বিলুপ্ত এই প্রাণীর বংশবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে নীলগাই দুটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নীলগাই দুটি খেলা করার সময় ছুটোছুটির একপর্যায়ে নারী নীলগাইটি চিড়িয়াখানার নেটের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে মাটিতে পড়ে যায়। এতে নীলগাইটি বুকে ব্যথা পায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি নীলগাইটিকে।

রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিন বিষিয়টি নিশ্চিত করে জানান, নীলগাইটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা হবে।

আরো পড়ুন : ঠাকুরগাঁওয়ে গর্ভবতী নীলগাই ধরা পড়ল
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা কুলিক নদীতে পারাপারের সময় একটি গর্ভবতী নীলগাই আটক করেছে স্থানীয় কয়েজন যুবক। পরে জনৈক জাহিদের বাড়িতে রাণীশংকৈল যদুয়ার এলাকায় নিয়ে রাখা হয় ওই নীলগাইটিকে। বিলুপ্তপ্রায় এই নীলগাইটি পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে দলছুট হয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার পটুয়া এলাকায় পথচারীরা ওই নীলগাইটিকে ধাওয়া করলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৌড়ে কুলিক নদী পারাপারের সময় নদীতে জাহিদ, বুধু, মকবুলসহ প্রায় ৫০ জন এলাকাবাসী পানিতে নীলগাইটিকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় বুধু ও মকবুল আহত হয়। পরে অনেক কষ্ট করে এলাকাবাসী ওই নীলগাইকে উদ্ধার করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।


পরে খবর পেলে বন বিভাগের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, রাণীশংকৈল থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। জাহিদের ভাই আবুবক্কর কোনো অবস্থাতে নীলগাইটিকে হস্তান্তর করতে না চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে আবু বক্করকে বুঝিয়ে নীলগাইটি বুঝে নেন। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা বলেন, জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান স্যারের নির্দেশে নীলগাইটিকে দ্রুত জাতীয় উদ্যানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নীলগাই উদ্ধার কারী জাহিদ বলেন, দ্রুতগতিতে আসা নীলগাইটি যদুয়ার এলাকায় কুলিক নদীর পানিতে পরে গেলে কয়েজন মিলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদে স্থানে রাখি।

নীলগাইটি দীর্ঘদিন ধরে থাকা জঙ্গলের মালিক সদর উপজেলার পটুয়া ফকদরপুর এলাকাবাসী আকরাম বলেন, নীলগাইটিকে প্রায় ৩-৪ মাস ধরে ভুট্রার ক্ষেতে দেখেছিলেন। জঙ্গলের পাশে ধান ক্ষেত নষ্ট করলে মঙ্গলবার কয়েজন মিলে নীলগায়টিকে ধাওয়া দিলে নীলগাইটি পালিয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নীলগাইটি দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। এই প্রাণীটির যেন কোনো সমস্যা না হয় সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement