১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের তোড়জোড় :

হিলি বন্দর দিয়ে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

- ছবি : সংগৃহীত

ভারতের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে এই বন্দরের ১০ জন আমদানিকারক কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সংরক্ষণ রোধ থেকে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির আইপি বা অনুমতি পেয়েছেন।

রোববার সকাল থেকে শুরু করে সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পত্র (আইপি) ইস্যু করা হয়েছে বলে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংরক্ষণ রোধকেন্দ্র সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আরো বেশ কয়েকজন আমদানিকারকের আইপি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। যা আজকালের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যেতে পারে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংরক্ষণ রোধকেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। মূলত ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি গত শনিবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরপর থেকেই পেঁয়াজ আমদানির জন্য হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা আমাদের সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করতে শুরু করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দফতর আইপি ইস্যু করছেন।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই হিলি স্থলবন্দরের ১০ জন আমদানিকারক ১৪ হাজার টন পেয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। সেইসাথে আগের যাদের আইপি নেয়া রয়েছে তাদের মেয়াদ থাকলে সেটি দিয়ে তারা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। আর যাদের মেয়াদ পার হয়ে গেছে তারা মেয়াদ বাড়িয়ে আমদানি করতে পারবেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমদানির অনুমতিও পেয়েছি। এছাড়াও ব্যাংকে পেঁয়াজের এলসি খোলা সম্পূর্ণ হয়েছে। আমার মতো অনেক আমদানিকারক আইপি পেয়েছেন, এলসিও খুলেছেন। আবার কেউ খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত সরকার আগে পেয়াজ রফতানিতে যে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল সেটি এখনো প্রত্যাহার করেনি। তাদের কাস্টমসের সার্ভারে সেই শুল্ক এখনো দেখাচ্ছে। যদি সেই শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় তাতে করে আমাদের দেশে পেঁয়াজ এসে পড়ছে ৭০ টাকার ওপরে। কিন্তু আমাদের দেশীয় পেয়াজ এখনো তার চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এই কারণে আমরা এখনো পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমরা ভারতীয় রফতানিকারকদের সাথে কথা বলছি তারাও কাস্টমসের সাথে যোগাযোগ করছেন শুল্কের বিষয়টি নিয়ে। শুল্ক আছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে আসবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল