বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত মুক্তি দিলে সরকার আগে যেমন বাধা দেয়নি এখনো দিবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। আদালত তাকে মুক্তি দিলে তাতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। এরই মধ্যে আদালত ৩০ থেকে ৩২টি মামলায় তাকে জামিন দিয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কারণে খালেদার মুক্তি হচ্ছে না- বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যে জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য হাস্যকর। খালেদার মুক্তির সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সহযোগী যেসব সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের জাতীয় সম্মেলনের আগে দ্রুত সময়ে নিজেদের সম্মেলন শেষ করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা নিবার্চনে বিদ্রোহী প্রাথীদের বিষয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। উপজেলা নির্বাচনেও কিছু সমস্যা ছিল। ছয়জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। আর যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তাদের বিষয়ে পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কমিটি করতে নিজের লোক না খোঁজার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কমিটি করার সময় নিজের লোক খুঁজবেন না। দলের দুঃসময়ে যারা পাশে থাকেন তাদের মূল্যায়ন করতে হবে, তাদের সম্মান করতে হবে।
জাতীয় নির্বাচনে দলে অনেক নতুন মুখ এসেছে, আসবে এটা স্বাভাবিক। তাদের সদস্য করে নিতে হবে। পাশাপাশি কর্মী সংগ্রহ জোরদার করতে হবে।
জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে মুগ্ধ হয়ে তরুণরা দলে এসেছে। তারা এসেছে আবেগ থেকে। তাদের সেই আবেগে চেতনা যোগ করতে হবে। কারণ চেতনা না থাকলে তারা দলে বেশিদিন থাকবে না।
সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এক কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: সাদেক খান প্রমুখ।