২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
শিশু নিনাদ হত্যা

পরিবারের সন্দেহ নেপথ্যে রয়েছে জমির বিরোধ

রহস্য খুঁজছে পুলিশ
-

জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই রাজধানীর খিলগাঁওয়ে শিশু সাফোয়ান আল নিনাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবার সন্দেহ করছে। তবে ঘটনার ছয় দিনেও কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কু পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।
ঈদের দিন দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় বাসার পাশের একটি খোলা জায়গায় পণ্য বহনকারী ঢাকনাওয়ালা রিকশাভ্যান থেকে উদ্ধার করা হয় আট বছরের শিশু নিনাদের লাশ। চাঁদরাতে (শুক্রবার) সহপাঠী ও প্রতিবেশী অন্য শিশুদের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিল সে। এর পর থেকেই নিনাদ নিখোঁজ ছিল। ঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা স্বপন ব্যাপারী বাদি হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমরা এখনো বেশি দূর এগোতে পারিনি। তবে আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।
খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় মামাবাড়িতে বাবা-মা ও বোনের সাথে থাকত নিনাদ। তার বাবা স্বপন ব্যাপারী গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট, মা সোনিয়া আক্তার গৃহিণী। বোনটি তার ছোট।
নিনাদের মামা সাংবাদিক এস এম মুন্না বলেছেন, ওই এলাকায় জমি নিয়ে নিনাদদের পুরনো দ্বন্দ্বের কারণে মামারা ভাগ্নেকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
মুন্না বলেন, তার মা পেয়েছিলেন ৫ কাঠা জমি। কিন্তু মামা সালাউদ্দিন ও জহিরুল ইসলাম পুরো জমি না দিয়ে সাড়ে তিন কাঠা জমি তাকে বুঝিয়ে দেন। পরে দেড় কাঠা জমির ভাগ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরের শুরুর দিকে মুন্নার মামারা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে এবং তার মা-বোন-খালাকে গুরুতর আহত করে বলে জানান। এ ঘটনায় মুন্না একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় সালাউদ্দিন ও জহিরুল ছাড়াও মুন্নার মামাতো ভাই ফিরোজ মিয়া, আরাফাত ও ফয়সালসহ আরো বেশ কয়েজনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসেন। পরে মুন্না ওই দেড় কাঠা জমি বুঝে পেয়ে নামজারি করেন। সম্প্রতি সেই জমিতে নিনাদদের পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করছিলেন তিনি। ঘরের কাজে হাত দেয়ার পর থেকে আবারো প্রতিপ হুমকি দিচ্ছিল বলে জানান মুন্না। তিনি বলেন, ধারণা করছি, প্রতিহিংসাবশত তারা তার ভাগ্নেকে খুন করছে।
মুন্না জানান, ঈদের দিন বেলা দেড়টায় তাদের বাসার কাছের রিকশা গ্যারেজের পাশে খালি প্লটে মার্বেল নিয়ে খেলতে খেলতে একটি শিশু রিকশাভ্যানের ভেতরে উঁকি দিয়ে নিনাদের লাশ দেখতে পায়। হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে মুন্নাদের বাড়ির অদূরে। নিনাদের গায়ে ছিল লাল রঙের হাতাকাটা টি শার্ট, পরনে হাফ প্যান্ট। রিকশাভ্যানের ভেতরে পলিথিন দিয়ে তার গলা বেঁধে রাখা হয়েছিল ভ্যানের রডের সাথে। এক পা ছিল মোড়ানো।


আরো সংবাদ



premium cement
বনানীতে মোটরসাইকেল টেনে হিঁচড়ে নেয়ার সময় বাসে আগুন নোয়াখালীতে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল ইউপি চেয়ারম্যানের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক মুজিবনগর উপজেলা আ’লীগের ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১৩ তীব্র গরমের জন্য দায়ী বর্তমান গণবিরোধী ডামি সরকার : ডা: শাহাদাত চট্টগ্রামে কাঠের গুদামে মিলল ৬শ বস্তা ভারতীয় চিনি রাজশাহীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা করছে ভারত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জে তাপদাহ থেকে স্বস্তি দিচ্ছে ওয়াটার মিস্ট ক্যানন শ্যামপুরে পরিচ্ছন্নকর্মীদেও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ জামালপুরে পারিবারিক কলহে একজন নিহত

সকল