বড় বাধা পেরিয়ে শেখ জামালের শুরু

অসমাপ্ত ২০১৯-২০ লিগের শীর্ষ দল তারা। ঢাকা আবাহনীর চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে পয়েন্ট তালিকার যৌথভাবে শীর্ষে ছিল। সে আত্মবিশ্বাসই এবারের লিগে শিরোপার স্বপ্ন দেখাচ্ছে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। এ যাত্রায় বিগ ম্যাচ জিতেই তাদের শুরু। শিরোপার দাবিদার অপর দল ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালিস্ট চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়েই নতুন করে পথ চলা তাদের। ম্যাচটি একই সাথে ছিল দেশের দুই সেরা কোচের লড়াই। শেষ পর্যন্ত মারুফুল হককে টপকে বিজয়ের হাসি শফিকুল ইসলাম মানিকের।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দাপটের সাথে খেলেই জয় তুলে নেয় লিগের তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ২০ মিনিটে লিড পায়নি উজবেকিস্তানের ওতাবেকের ফ্রি-কিকে নুরুল আবসারের হেড গোলরক্ষক নাঈমের হাতের ছোঁয়া নিয়ে ক্রসবারে প্রতিহত হওয়ায়। ১৪ মিনিটে গাম্বিয়ান সলোমন কিংয়ের শট ঠেকান তিনি। ৩৩ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী ব্রাজিলিয়ান নিক্সনের শট বাম দিকে শরীর ফেলে কর্নার করেন গোলরক্ষক জিয়া। ৩৯ মিনিটে আসে ম্যাচের প্রথম গোল। ওতাবেকের ফ্রি-কিক বোকা বানায় বিপক্ষ কিপারকে। ৫০ মিনিটে শেখ জামালের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোল বন্দরনগরীর ডিফেন্ডারদের ভুলে। রাইট ব্যাক মনির হোসেনের ক্রসে স্ট্রাইকার আবসার যখন লাফিয়ে হেড নেন তখন তাকে বাধা দেয়ার কেউ ছিল না।
৬২ মিনিটে স্কোর ৩-০ হয়নি নাঈমের দৃঢ়তায়। ওতাবেক ও আবসারের পরপর দু’টি শট ঠেকান তিনি। ৮৩ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী ব্যবধান কমায় নিক্সনের পেনাল্টি থেকে। মনিরের হ্যান্ডবলে এই পেনাল্টি দেন রেফারি মিজানুর রহমান।
শেখ জামাল কোচ মানিকের মতে, ‘দল পরিকল্পনা মাফিক খেলায় ম্যাচে আধিপত্য ছিল।’ অন্য দিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফের জবাব, পুরো দলই খারাপ খেলেছে। আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বেলা ৩টায় বসুন্ধরা কিংসের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যাচ খেলবে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে।