২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফর্টিস অ্যাকাডেমিতে আইসোলেশন সেন্টার

-

করোনার ভয়াবহতার সাথে চলছে গুজবও। যে কারণে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন সন্দেহভাজনরা পড়েছেন মহাবিপদে। বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। বিভিন্ন স্থানে এই কারোনা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। এরপরও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই মহামারী থেকে পরিত্রাণে এগিয়ে এলো ফর্টিস গ্রুপ। এবারের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে (বিপিএল) খেলতে যাওয়া দলটি তাদের অ্যাকাডেমিতেই স্থাপন করেছে আইসোলেশন সেন্টার। গত সপ্তাহে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে আপাতত ৬৪ জন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানান ফর্টিস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। উল্লেখ্য, এই ফর্টিসেই অবস্থিত বাফুফের অ্যাকাডেমি।
শাহাদাত জানান, করোনা আতঙ্কে অনেক সাধারণ রোগীও হাসপাতালে চিকিৎসা পান না। সাথে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদেরও বাড়ি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা। তাই আমরা চাই করোনা রোগী না হোক তাদের কারণে যেসব সাধারণ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা যেন আমাদের এই স্থানে চিকিৎসা নিতে পারেন। আর করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া ডাক্তাররা ইচ্ছে করলে আমাদের এখানে থাকতে পারবেন। তার দেয়া তথ্য, পাঁচজন ডাক্তারও রাজি হয়েছেন এখানে সেবা দিতে।
বিশাল এলাকাজুড়ে বাড্ডার বেরাইদে এই ফর্টিস অ্যাকাডেমি। সেখানে তাদের গার্মেন্ট আছে। আছে খুবই উন্নতমানের আবাসনব্যবস্থা। আছে তিনটি কনভেনশন সেন্টার। এখানেই এখন হাসপাতাল করা হয়েছে। আর খেলোয়াড়াদের যে ডরমেটরি সেখানে হাসপাতালের সার্ভিস স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা। ফর্টিস কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে ছিল আইসিও সেন্টার খোলা। তবে বিশ্বব্যাপী ভেন্টিলেশন মেশিনের তীব্র সঙ্কট হওয়ায় সে চিন্তা বাদ তাদের। তাই আইসোলেশন সেন্টার খোলা। স্থানীয়রাও তাদের সহযোগিতা করছে। পাশের অন্য শিল্পপতিরাও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জানান শাহাদাত। চিকিৎসা সঙ্কটের এই কঠিন বাস্তবতায় আগামীতে ফর্টিস গ্রুপ পূর্বাচলের নিজস্ব জমিতে হাসপাতাল বানাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement