আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের উদ্যোগে আগামী ২৭ আগস্ট কাদিয়ানি বিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উম্মুল মাদারিস খ্যাত চট্টলার বিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলামে (হাটহাজারি মাদরাসা) সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ উপস্থিত থাকবেন।
সোমবার দুপুর ৩টায় আসন্ন সম্মেলন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও মাদরাসায় তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নায়েবে আমির, ছারছিনার ‘মেজো পীর সাহেব’ আলহাজ মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী।
এতে সম্মেলন বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দীন রাব্বানীকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরো আছেন- আল্লামা আহমাদ আলী কাসেমী, আল্লামা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, আল্লামা জহুরুল ইসলাম, আল্লামা কিফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলামা শিব্বির আহমাদ, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা আশিকুল্লাহ, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আল-আমীন ফয়জী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা মুমিনুল হক, মুফতী সুলতান আহমাদ জাফরী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা আফসার মাহমুদ প্রমুখ।
মিটিংয়ে সংগঠনের সভাপতি, হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া ভার্চুয়ালি যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাদিয়ানিরা মুসলমানদের ঈমান হরণ করছে। পুরো শরীয়ত খতমে নবুয়তের ওপর নির্ভরশীল। তাই সরকারকে অবিলম্বে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করতে হবে। ঈমান রাখতে হলে খতমে নবুওয়ত মানতে হবে। দ্বীনের প্রচারের চেয়ে দ্বীনের হেফাজত বেশি প্রয়োজন। তাই আগামী ২৭ তারিখের ঈমানী সম্মেলন সফল করতে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের সকল জেলার দায়িত্বশীল ও প্রতিনিধি আলেম-ওলামার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মহাসচিব আল্লামা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, আমরা দীর্ঘ তিন যুগ যাবত তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের ব্যানারে কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বর্তমানে কাদিয়ানিদের অপতৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে। তাদের অপতৎপরতা রোধ করতে এবং কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আগামী ২৭ আগস্ট-২০২২-এর সম্মেলন। এই সম্মেলন বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশের ওলামা-মাশায়েখ ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
২৭ তারিখের সম্মেলন বাস্তবায়ন সভায় আরো আলোচনা করেন, আল্লামা জহুরুল ইসলাম, আল্লামা ইয়াহয়া মাহমুদ, আল্লামা আহমাদ আলী কাসেমী, আল্লামা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা শিব্বির আহমাদ, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আশিকুল্লাহ, মাওলানা মাহবুব, মাওলানা যুবায়ের, মাওলানা আল-আমীন ফয়জী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা মুমিনুল ইসলাম, মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মুফতী সুলতান আহমাদ জাফরী, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা মঈনুল ইসলাম, মাওলানা ইমরান, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা মোমেন আল হোসাইনী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আহসানুল্লাহ, মাওলানা আবুল হাসানাত, মাওলানা জাহিদ হাসান, মাওলানা নাজির আহমাদ, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা মুসা আমান প্রমুখ।