২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বড় মেয়েকে নিয়ে জাপানি মায়ের দেশ ত্যাগের চেষ্টা

ছোট মেয়েসহ আত্মগোপনে থাকা বাবাকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব

-

বাংলাদেশী বাবা ও জাপানি মায়ের দুই শিশু সন্তানকে মা নাকানো এরিকোর জিম্মার রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু সেই রায় উপেক্ষা করে আত্মগোপন করেছিলেন ছোট মেয়েসহ বাবা ইমরান শরিফ। অবশেষে র‌্যাব তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
গতকাল বুধবার ভোরে র‌্যাবের একটি দল রাজধানীর কালাচাঁদপুর থেকে আত্মগোপনে থাকা বাবা ইমরান শরিফকে ছোট মেয়েসহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।


গত রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাংলাদেশী বাবা ও জাপানি মায়ের দুই শিশুসন্তানকে মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার আদেশ দেন।
র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের রায় ছিল জাপানি মায়ের কাছে থাকবে জাপানি দুই সন্তান। কিন্তু রায় প্রতিপালনে থানা পুলিশ বাবাসহ ছোট মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিল না। আদালতের রায় উপেক্ষা করে মায়ের কাছে সন্তানকে হস্তান্তর না করে ছোট মেয়েসহ বাবা আত্মগোপনে চলে যান এমন তথ্য পায় র‌্যাব। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান থানাধীন কালাচাঁদপুর এলাকায় আত্মগোপন করা বাবা ইমরান শরিফকে ছোট মেয়েসহ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
অন্য দিকে আদালতের রায় অমান্য করে জাপানি মা নাকানো এরিকোও দ্বিতীয়বারের মতো তার বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে পালানোর চেষ্টা করেছেন। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে তাকে হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়।


এর আগেও জাপানি মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টা করলে আদালতের রায়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়।
গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের দেয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক উল্লেখ করেন, শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক তথা বাচ্চাদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কার কাছে নিশ্চিত হবে রায়ে সেটির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দুই সন্তান বাবার কাছে থাকা মঙ্গল হবে বলে বাদি যে দাবি করেছেন, সেটি প্রমাণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরো বলেন, নাবালিকা দুই শিশুর সর্বশেষ বসবাসের স্থান জাপান। তাদের মা জাপানের চিকিৎসক। তাই মায়ের হেফাজতেই শিশুরা শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তায় থাকবে বলে মনে করেন আদালত।

 


আরো সংবাদ



premium cement