০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লেবাননে জরুরি খাদ্য ও মেডিক্যাল টিম পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

-

লেবাননে জরুরি খাদ্য, প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী এবং মেডিক্যাল টিম পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া প্রয়োজনের ভিত্তিতে লেবাননকে যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকা।
গতকাল বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছারবেল ওহেবিকে ফোন করে বৈরুত বিস্ফোরণে হতাহত ঘটনায় সহানুভূতি প্রকাশ করে জরুরি সহায়তার এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় ড. মোমেন বিস্ফোরণে আহত বাংলাদেশীদের চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য লেবানন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ দিকে বৈরুত বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সান্ত্বনা জানিয়ে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান ডিয়াডের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার্তায় তিনি নিরপরাধ মানুষের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং ভিকটিমদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আপনার সক্ষম নেতৃত্বে লেবানন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবে। এই সঙ্কটের সময়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার লেবাননের পাশে থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণে লেবাননে জাতিসঙ্ঘের অন্তর্বর্তীকালীন ফোর্সের (ইউনিফিল) অধীনে বৈরুত বন্দরে অবস্থানরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (বানৌজা) বিজয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২১ জন নৌসেনা আহত হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন বাংলাদেশী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই সঙ্কটময় সময়ে আপনার সরকার বাংলাদেশীদের দেখাশোনা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত মঙ্গলবার বিকেলে শক্তিশালী বিস্ফোরণে চারজন বাংলাদেশী নিহত হন। এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশী আহত হয়েছেন।
বৈরুত বন্দরের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৩৭ জন দাঁড়িয়েছে। এখনো বহু লোক নিখোঁজ রয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজারে পৌঁছেছে। বিস্ফোরণে বৈরুত বন্দরের একাংশ বিলুপ্ত হয়ে গেছে, নগরীর কেন্দ্রস্থলে বিশাল ব্যাসার্ধের এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement