জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। গতকাল নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ অবস্থানের কথা জানান। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষীদের পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য খারেকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল খারে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত কৌশল বাস্তবায়নে নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ শান্তিরক্ষী মোতায়েনে বাংলাদেশের সার্বক্ষণিক প্রস্তুতির জন্য সাধুবাদ জানান খারে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নারী শান্তিরক্ষীদের দ্বারা কৌশলগত যোগাযোগ এগিয়ে নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাব স্বাগত জানান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল। অতুল খারেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষকে জানানোর অনুরোধ করেন।
এর আগে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে লাউঞ্জটি স্থাপন করা হয়। মিশনে আসা জাতিসঙ্ঘ ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকের জন্য লাউঞ্জটি ব্যবহৃত হবে। এর ফলে তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সম্পর্কে ধারণা লাভের সুযোগ পাবেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসঙ্ঘের সদস্যপদ লাভ করে। সেই থেকে বাংলাদেশ বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ইউএনডিপি/ ইউএনএফপিএ/ ইউএনওপিএসর নির্বাহী বোর্ডের সহসভাপতি, জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের এজেন্ডাগুলো শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষেত্রে গঠিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় কনসালটেশনের ফ্যাসিলেটেটর এবং পঞ্চম জাতিসঙ্ঘ এলডিসি কনফারেন্সের প্রস্তুতি কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা