৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

করোনার শঙ্কা নিয়েই শপিং চলছে সমানতালে

লকডাউনের মধ্যেও ঈদের কেনাকাটার জন্য রাজধানীর নিউমার্কেটে উপচে পড়া ভিড় : নয়া দিগন্ত -

পার্শ্ববর্তী ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনার ভয়াবহতায় শঙ্কিত হলেও শপিং করা থেকে পিছু হটছেন না দেশের মানুষ। লকডাউনের কারণে শপিংমলগুলো কয়েক ধাপে বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত রোববার থেকে লকডাউন চললেও মার্কেট, দোকান শপিংমলগুলো খুলে দেয় সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কেনাবেচা করার অনুমতি দেয়া হয়। এই সুযোগে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দেশের মানুষ। কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্বের কথা বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন সবাই। একই দোকানে ১০-১২ জন ঠাসাঠাসি করে পণ্য দেখছেন, কিনছেন। আবার প্রথমদিকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের হাতে স্যাভলন পানি ছিটিয়ে দিতে দেখা গেলেও মানুষের ভিড়ে এখন সেগুলো হারিয়ে গেছে। টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে পার্শ্ববর্তী ভারতে করোনার ভয়াবহতা দেখে এ দেশের মানুষ কিছুটা শঙ্কিত হলেও তারা শপিং করা থেকে বিরত থাকতে রাজি নয়। তারা বলছেন, প্রয়োজনেই কেনাকাটা করতে এসেছেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর প্রায় প্রতিটি শপিংমল ও মার্কেটেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে মার্কেট থেকে ক্রেতাদের বেশি ভিড় রয়েছে ফুটপাথগুলোতে। করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে কেনাকাটার ব্যস্ততায় অনেকে ভুলেই গেছেন, দেশে মহামারী করোনার প্রকোপ রয়েছে, যা ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনও চলছে। প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গতকাল নিউমার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স, গাউছিয়া, চাঁদনীচকসহ আশপাশের কয়েকটি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন বয়সী নারী। বিক্রিও বেশি হচ্ছে নারীদের পোশাকই। তাদের অনেকেই দলবেঁধে কেনাকাটা করতে এসেছেন। ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ভেতরে ঠাসাঠাসি করে থাকা দোকানগুলোতে ক্রেতারাও ঠাসাঠাসি করে সেখানে পণ্য পছন্দ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আমিনা রহমান বলেন, মূলত ঈদুল ফিতর সময় নতুন পোশাক কেনা হয়। গত ঈদে করোনার প্রকোপে পরিবারের কারো জন্যই কিছুই কিনতে পারিনি। এবার ঈদের প্রয়োজনের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছেন। তারা একই পরিবারের সাতজন এক মাইক্রোবাসে করে এসেছেন। সবাই যার যার মতো পণ্য পছন্দ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার ভয়াবহতা দেখে আমরাও শঙ্কিত। কিন্তু প্রয়োজন হলে তো কেনাকাটা করা লাগবেই।
আজিজুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, পাশের দেশ ভারতে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। এসব দেখেও আমরা সচেতন হচ্ছি না। বাসার নারী সদস্যদের কোনোভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না। তারা গত বছর কিছু কিনতে পারেনি। তাই এবার তাদের পোশাক কেনা লাগবেই। যার কারণে বাধ্য হয়েই মার্কেটে আসতে হয়েছে। তিনি বলেন, যতটুকু পারছি স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছি। কিন্তু নিজে মানলেও অন্য ক্রেতারা তা মানছে না। এসেই গায়ের সাথে মিশে ধাক্কা দিচ্ছে।
মিরপুরের বাসিন্দা সুমাইয়া বলেন, অনেকেই তো বের হচ্ছেন। তাই তো আমরাও বের হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হয়েছি। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবো। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। চাঁদনীচক সুপার মার্কেটে শপিং করতে আসা এক তরুণী বলেন, নতুন কিছুই আসে নাই। পুরনো জিনিসই কিনতে হচ্ছে।
এ দিকে বিক্রেতারা বলছেন, আজ ভিড় বেশি। কিন্তু বেচা বিক্রি অনেক কম। যে পরিমাণ জনসমাগম রয়েছে সবাই যদি একটি করে জিনিসও কিনতেন তাহলে আমাদের দোকানের জিনিসপত্র অনেক কমে যেত। কেনাকাটা হচ্ছে কম, সবাই জিনিসপত্র দেখছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
দোয়ারাবাজারে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা, আটক ১ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি

সকল