২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ডা: মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

-

শহীদ ডা: শামসুল আলম খান মিলনের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) এক সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে আততায়ীর গুলিতে তিনি শাহাদতবরণ করেন। ডা. মিলন ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক এবং বিএমএর তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার সেদিনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করে এবং সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণী পেশার মানুষকে এক কাতারে এনে দেয়। এর পরিণতিতেই এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। ডা: মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ তার বাণীতে নতুন প্রজন্ম ডা: মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে। আমি আশা করি আমাদের নতুন প্রজন্ম ডা: মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে।’ বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ডা: সামসুল আলম খান মিলনকে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শহীদ ডা: মিলনের আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি। তার আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ চিরদিন ডা: মিলনের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তিনি শহীদ ডা: মিলনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ডা: মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়।
ডা: শামসুল আলম খান মিলনের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা: শামসুল আলম খান মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডা: মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।’ প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে ডা: শামসুল আলম খান মিলনের রূহের মাফিরাত কামনা করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement