০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইউক্রেনের রাজধানীর উপর আরো ড্রোন হামলা

- ছবি : সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপর রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই নিয়ে গত কয়েক দিনে চার বার এমন হামলা ঘটলো। শহর ও উপকণ্ঠের মানুষকে সতর্ক করে এয়ার রেড শেল্টারে আশ্রয় নেবার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সন্ধ্যা আটটার ঠিক পরেই প্রায় ২০ মিনিট ধরে হামলা চলে। শহরের কেন্দ্রস্থলে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী নিজস্ব একটি ড্রোনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণেও প্রায় ৫০টি ড্রোন হামলা ঘটেছে। তাছাড়া ৬৬টি বিমান হামলা ও ৩৩টি জায়গায় কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে বলে ইউক্রেন দাবি করছে।

এদিকে বুধবার ভোরে ক্রেমলিনের উপর ড্রোন বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জটিলতা বাড়ছে। রাশিয়া এই হামলার দায় প্রথমে ইউক্রেনের উপর চাপানোর পর বৃহস্পতিবার সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। পুটিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন যে আমেরিকার নির্দেশে ইউক্রেন এই হামলা চালিয়েছে। জরুরি তদন্তের পর ভেবে চিন্তে এই হামলার জবাব দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। ওয়াশিংটন ও কিয়েভ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুক্রবার পুটিন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে গিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য নতুন ট্রাইবুনাল গঠনের উদ্যোগের ঘোষণা করেন। তিনি যুদ্ধাপরাধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের বিচারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের ১৯৯১ সালের সীমানা থেকে রাশিয়াকে বিতাড়িত করতে গোটা সমাজ প্রস্তুত। যুদ্ধ শেষ হবার পর ইউক্রেন সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে বলে জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেন। যুদ্ধের মাঝে যে সেটা সম্ভব নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তা স্বীকার করে নেন।

নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডে ক্রো-র সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জুলাই মাসে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের আগেই ন্যাটোর বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ তাকে ইতিবাচক বার্তা পাঠিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীও যুদ্ধের পর ইউক্রেনের সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন জানান। তিনি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়ে আলোচনার কথা জানান।

আগামী ১৮ মে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কৃষিজাত পণ্য রফতানি সংক্রান্ত বোঝাপড়ার মেয়াদ শেষ হবার আগেই সেই ব্যবস্থা চালু রাখতে আরো জোরালো কূটনৈতিক উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। তুরস্ক, রাশিয়া, ইউক্রেন ও জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। বিশ্বে খাদ্য সংকট এড়াতে জাতিসংঘের এই উদ্যোগ চালু রাখাতে রাশিয়া একাধিক শর্তের এক তালিকা পেশ করেছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement