সমালোচনার মুখে অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ভারত, দক্ষিণ এবং কেন্দ্রীয় এশিয়ার ফেসবুকের নীতিমালা বিভাগের প্রধান আঁখি দাস। ছয় মাস আগে এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ভারতে রাজনৈতিক কনটেন্টগুলোতে ফেসবুক যেভাবে নীতিমালা প্রয়োগ করছে, তাতে লাভবান হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন দল।
দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক রাজনীতিবিদের বিদ্বেষমূলক পোস্টের ক্ষেত্রে নীতিমালার প্রয়োগ ঠেকিয়েছেন তিনি। এমন সংবাদ প্রকাশের পর সমালোচনা ওঠে আঁখি এবং ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
যদিও সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে দাস জানিয়েছে, সরকারি চাকরিতে আগ্রহের কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, ফেসবুকের ব্যবসায়িক ক্ষতির কথা চিন্তা করে কিছু হিন্দু জাতীয়তাবাদী ব্যক্তি এবং গ্রুপের ওপর বিদ্বেষমূলক কনটেন্টের নীতিমালা প্রয়োগের বিরোধিতা করেছেন দাস। এই ঘটনার পর দাস এবং ফেসবুকের সমালোচনায় মেতেছেন বামপন্থী আইনপ্রণেতারা। সে সময় থেকেই অভিযোগ ওঠে মূলত ফেসবুকের ভেতরেই ক্ষমতাসীন বিজেপির হয়ে ভূমিকা রাখছেন তিনি।
ভারতে ফেসবুকের সবচেয়ে প্রভাবশালী নির্বাহী কর্মকর্তাদের একজন ধরা হতো আঁখি দাসকে। ২০১১ সালে ফেসবুকে যোগ দেয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ফেসবুকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার ভারত। দেশটিতে ৩০ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা