২২ মে ২০২৪, ০৮ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে অগ্রগতি ও সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি

-

প্রযুক্তি খাতের নতুন উদ্ভাবন ব্যবহারকারীদের সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রযুক্তিবিশারদরা। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নিয়ে সবাই আগ্রহী। এ কারণে প্রতারণা থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত রাখা এবং ভুল তথ্যের প্রচার বন্ধে সবাই সচেষ্ট। সাম্প্রতিক সময়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তি খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে এটি কোনো বিরূপ প্রভাব না ফেললেও এর কারণে সাইবারনিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রযুক্তিটি এখনো উন্নয়নমূলক পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এবং শিগগিরই এ ধরনের মেশিন বাজারে প্রবেশ করবে। আইবিএমের তথ্যানুযায়ী, কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে তৈরি। কোয়ান্টাম কম্পিউটার মাল্টিডাইমেনশনাল কম্পিউটেশনাল স্পেস তৈরিতে সক্ষম। এর অর্থ হলো ডিভাইসগুলো একই সময়ে কয়েক কোটি হিসাব সম্পাদন করতে পারবে। এর মাধ্যমে কম সময়ে অনেক বড় সমস্যার সমাধান করা যাবে। ঠিক কবে নাগাদ প্রযুক্তি খাতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রবেশ করবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা খাতে যেসব সমস্যা হতে পারে সেগুলো মোকাবেলায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
চলতি বছরে অ্যাপল পোস্ট কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্র্যাফিক প্রটোকল উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে। আইমেসেজ প্লাটফর্মে পাঠানো তথ্যে সুরক্ষায় তারা এ সিস্টেম চালু করেছে। অ্যাপলের দাবি অতি শক্তিশালী কোয়ান্টাম আক্রমণেও এ ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হবে না। কোম্পানিটি বর্তমানে হার্ভেস্ট নাও, ডিক্রিপ্ট লেটার ধরনের আক্রমণ প্রতিহতে পোস্ট কোয়ান্টাম এনক্রিপশন ব্যবহার করছে। এ ধরনের আক্রমণে হামলাকারীরা বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রকাশ্যে এলে সেগুলো ডিক্রিপ্ট করে থাকে। অ্যাপলের পাশাপাশি গুগলও পোস্ট কোয়ান্টাম সিকিউরিটি প্রটোকলের উন্নয়নে কাজ করছে এবং কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে যোগাযোগে এটি ব্যবহার করছে।


আরো সংবাদ



premium cement