২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পচন ঠেকাতে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির উদ্যোগ!

-

রমজানের শুরুতে রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এমন বাড়তি দামে কিনতে না পারায় তরমুজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ক্রেতারা। এরপর দাম কমতে থাকে। এখন প্রতিকেজি তরমুজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ক্রেতারা কিনছেন না এই মৌসুমি ফলটি। ফলে বিপুল পরিমাণ ফল পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে রাজধানীর কয়েকটি পয়েন্টে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) ব্যানারে ট্রাকে করে কৃষকের দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
ইফতারে রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি অনুসঙ্গ ফল। তবে এবার রোজার আগে থেকেই অস্থির দেশের ফলের বাজার। খেজুর, আপেল, আনার, বেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। আর এতদিন পিস হিসেবে বিক্রি হওয়া তরমুজ তো বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। এ পরিস্থিতিতে ক্রেতারা যেন অনেকটা বয়কটই করেছেন তরমুজ। বাজারে কমে গেছে তরমুজের বেচাকেনা। রমজানের শুরুতে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া তরমুজের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আসছে রাজধানীর বাজারে। এতে বেড়েছে সরবরাহ। কমেছে দামও। তবে বাজারে দেখা নেই পর্যাপ্ত ক্রেতার। তরমুজের চড়া দামের কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এখন বাজারে শুধু ডোরাকাটা জাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। পথে বাড়তি ব্যয় ও শ্রমিক খরচের কারণে এখন কিছুটা চড়া তরমুজের বাজার। তবে দাম কমতে শুরু করেছে।
আর ভোক্তারা বলছেন, বয়কট করায় কমতে শুরু করেছে তরমুজের দাম। ক্রেতারা জোটবদ্ধ হয়ে পচনশীল এ পণ্য কেনা সাময়িক বন্ধ করতে পারলেই দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। খিলগাঁও বাজারে তরমুজ কিনতে আসা মনির বলেন, পুষ্টি ও তুষ্টি বিবেচনায় রোজার প্রথম দিকে মৌসুমি এ ফলের ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু বেশি দামের কারণে গত ১৫ দিনে এক কেজিও কেনা হয়নি। দাম কমে গেছে শুনে তরমুজ কিনতে এসেছেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, তরমুজের দাম ৩০০ টাকার বেশি হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। নায্য দামে পণ্য বিক্রিতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ বলেন, গণমাধ্যমগুলো সিন্ডিকেটের তালিকা বেশি বেশি প্রকাশ করলে জনগণ বাজারের পরিস্থিতি জানতে পারবে। এতে সরকারের পাশাপাশি তারাও ব্যবস্থা নিতে পারবে। বাফার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৭ রমজান পর্যন্ত রাজধানীর পাঁচটি স্থানে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি করা হবে। স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। এসব স্থানে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement