২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবি

দিনভর বহিরাগত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করল ঢাবি শিক্ষার্থীরা

-

নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় দিনভর ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধনের পর এই কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ ও ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। সরেজমিন দেখা যায়, মানববন্ধনের পর শিক্ষার্থীরা রাস্তা আটকিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করে ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে সেøাগান দিতে থাকে। এরপর তারা গণতন্ত্র তোড়ন, চানখাঁরপুলসহ কয়েকটি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বহিরাগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট কার, সিএনজি, বাস, ট্রাক ও অন্যান্য ভারী যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছিল। তবে রিকশা, অ্যাম্বুলেন্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি যাতায়াত করতে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ডমাইকে বারবার বহিরাগতদের ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যাওয়ার অনুরোধ করতেও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। যার ফলে, সারা দিন ক্যাম্পাস যানজটমুক্ত ও বহিরাগতদের কোলাহল মুক্ত থাকতে দেখা যায়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনিয়ন্ত্রিত গতিসীমার যানবাহন চলাচল, উচ্চৈঃস্বরে হর্ন বাজানোর কারণে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত ও নিরাপত্তাহীনতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ ব্যাপারে বারবার অবগত করা হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে এসেছে এবং আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।


এর আগে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১১টি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে সব যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা ও শাস্তির বিধান নিশ্চিত; রুবিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়; ক্যাম্পাসে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোতে দ্রুত চেকপোস্ট বসানো ও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা; বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুধু নিবন্ধিত রিকশা চলাচল এবং রিকশাচালকদের জন্য ইউনিফর্ম ও ভাড়ার চার্ট প্রস্তুত করা; ভ্রাম্যমাণ দোকানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ ও প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করা; প্রথম বর্ষ থেকে সব শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড নিশ্চিত করা; মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ী উচ্ছেদ করা; সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় আনা; প্রক্টর অফিসে জমে থাকা সব অভিযোগ নিষ্পত্তি করা; নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রক্টোরিয়াল অফিসের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিগুলো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।


আরো সংবাদ



premium cement