সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২৩ সালের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬২৩ ভোটের মধ্যে দুই দিনে ভোট পড়েছে ছয় হাজার ৬০৮টি। গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনে ভোট পড়েছে তিন হাজার ৭৮২টি। আর প্রথম দিন মঙ্গলবার ভোট পড়ে দুই হাজার ৮২৬টি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে ।
দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচনে মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন পরিচালনায় সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন উপকমিটি রয়েছে।
কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহসভাপতি পদে দু’টি, সম্পাদক পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহসম্পাদক পদে দু’টি ও কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে সাতটি পদসহ সর্বমোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে কার্যকরী কমিটির সাতটি সদস্য পদের ভোট ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) সভাপতি পদে মো: বদরুদ্দোজা (বাদল), সহসভাপতি পদে মনির হোসেন ও মো: আসরারুল হক, সম্পাদক পদে মো: রুহুল কুদ্দুস (কাজল)। কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সহসম্পাদক পদে মাহফুজ বিন ইউসুফ ও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান। সাতটি সদস্য পদে ফাতিমা আক্তার, কামরুল ইসলাম, মাহদীন চৌধুরী, মো: আনোয়ারুল ইসলাম, মো: গোলাম আক্তার জাকির, মো: মঞ্জুরুল আলম (সুজন) ও মো: মোস্তফা কামাল বাচ্চু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সাথে ঐক্য না হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী সমর্থক আইনজীবীরা দু’টি পদে প্রার্থী দিয়ে পৃথকভাবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জামায়াত সমর্থক আইনজীবী মঈনউদ্দিন ফারুকী সহসভাপতি পদে এবং সহসম্পাদক পদে মোহাম্মদ আবদুল করিম নির্বাচনে অংশ নেন।
অন্য দিকে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থীরা হলেনÑ সভাপতি পদে সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো: মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সহসভাপতি পদে মো: শহীদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হোসেন এবং সম্পাদক পদে মো: আবদুন নুর (দুলাল)। কোষাধ্যক্ষ পদে মো: ইকবাল করিম, সহসম্পাদক পদে এ বি এম হামিদুল মিসবাহ ও মো: হারুন অর রশিদ।
সাত সদস্য পদে প্রার্থী হচ্ছেনÑ ফাতেমা বেগম, হাসান তারিক, মো: মনিরুজ্জামান রানা, মুনমুন নাহার, শফিক রায়হান শাওন, শাহাদাত হোসাইন (রাজিব) ও সুব্রত কুমার কুণ্ডু।